জানাজাস্থলে জাতীয় পতাকা ছাড়া অন্য কোনো পতাকা না নেওয়ার আহ্বান হাদির পরিবারের

শহীদ শরিফ ওসমান হাদি
শহীদ শরিফ ওসমান হাদি  © টিডিসি ফটো

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজাস্থলে জাতীয় পতাকা ব্যতীত অন্য কোনো ধরনের পতাকা না আনার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তার পরিবার। 

আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ইনকিলাব মঞ্চের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, ‘জানাজা নামাজের স্থানে বাংলাদেশের পতাকা ব্যতীত অন্য কোনো পতাকা থাকবে না। আপনাদেরকে সার্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে তার পরিবার।’

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, শনিবার দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহীদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকটি শর্তও আরোপ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

আরও পড়ুন: স্বামী-কন্যাসহ দেশে ফেরার প্রত্যাশায় লন্ডন ফিরে গেছেন ডা. জোবায়দা রহমান

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা পড়াবেন হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।

তারও আগে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়। রাত ৯টা ৪৪ মিনিটে দেওয়া ওই পোস্টে লেখা হয়, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহিদ হিসেবে কবুল করেছেন।’

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ওসমান হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়। পরে বিমানবন্দর থেকে মরদেহ হিমাগারে নেওয়া হয়। শনিবার জানাজা শেষে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন শরিফ ওসমান হাদি। ১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণকারী হাদি একজন রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা ছিলেন। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিতি পান। এছাড়া তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণাও দিয়েছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!