আখতারের বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জামায়াতের, কী বলেছিলেন এনসিপি সদস্য সচিব?

আখতার হোসেন ও জামায়াত লোগো
আখতার হোসেন ও জামায়াত লোগো  © সম্পাদিত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের অসত্য, মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের আজ রবিবার (৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা আশা করি, আখতার হোসেন তাঁর ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন। রাজনৈতিক বিভাজনকামী, উত্তেজনামূলক ও অসত্য প্রচারণা জাতির জন্য কোনো উপকার বয়ে আনে না। অসত্য বক্তব্য দিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। 

এর আগে রাজধানীতে আয়োজিত এক সভায় এনসিপি নেতা আখতার হোসেন বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মতো দলগুলো গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের শরিক দল। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, গণ-অভ্যুত্থানের পর তারা নতুন রাজনীতির প্রতিশ্রুতি দেবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, নির্বাচনের এখনো তফসিল ঘোষণা করা হয়নি, এর মধ্যেই বিএনপি-জামায়াতের মতো দলগুলো অস্ত্রের মহড়ায় কে কার থেকে এগিয়ে যাবে, সেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। আমরা দেখছি যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার মতো ঘটনা ঘটছে। তারা যদি অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় আসে, তাহলে তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে শেখ হাসিনা শুধু দলীয় বাহিনী নয়, দেশের সব বাহিনীকে অস্ত্রে সজ্জিত করে চব্বিশের অভ্যুত্থানে জনগণের বিপক্ষে গুলি করতে মাঠে পাঠিয়েছিল। সেসব বাহিনী এবং আওয়ামী অস্ত্রধারীরা অস্ত্র গুটিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।’

আখতারের ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ৬ ডিসেম্বর ঢাকার বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ‘অস্ত্রের রাজনীতি’ বা ‘অস্ত্রের মহড়া’ সংক্রান্ত যে অভিযোগ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সদস্যসচিব আখতার হোসেন করেছেন, তা বাস্তবতার সঙ্গে কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। জামায়াতে ইসলামী একটি দায়িত্বশীল, শান্তিপ্রিয় ও সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল-যা দেশে আইনের শাসন, শান্তি, শৃঙ্খলা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় সর্বদা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমাদের ইতিহাস, আদর্শ ও রাজনৈতিক আচরণ কোথাও এমন অভিযোগকে সমর্থন করে না। তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন, মনগড়া ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। 

তিনি আরও বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিবেশকে শান্ত ও স্থিতিশীল রাখতে জামায়াত অত্যন্ত সংযম ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আসছে। দেশের জনগণ জানে-জামায়াত কখনোই সহিংসতা বা অবৈধ কর্মকাণ্ডের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। অতএব, তার মত একজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতার মুখে এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক, অযৌক্তিক ও সস্তা রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ।

বিবৃতিতে তিনি গণমাধ্যম, রাজনৈতিক মহল ও দেশবাসীকে এ ধরনের মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।


সর্বশেষ সংবাদ