নির্বাচন কমিশনে বাংলাদেশ ন্যাপের ১২ সুপারিশ

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ লোগো
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ লোগো  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে সর্বশেষ সংশোধনী বহাল, রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার বিধান বলবৎ রাখা, ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ ১২দফা সুপারিশ মালা পেশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

রবিবার (১৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি এই সুপারিশমালা পেশ করেন। এসময় তার সঙ্গে দলের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মো. নুুরুল আমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ন্যাপ’র ১২ দফায় বলা হয়:

০১. গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ নং অনুচ্ছেদের সর্বশেষ সংশোধনী বহাল রাখার জোর সুপারিশ করছে। একই সঙ্গে জোট বা মহাজোট যাই হোক না কেন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার বিধান বলবৎ রাখতে হবে।

০২. নির্বাচনে পেশিশক্তি, কালো টাকার ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাই। একই সঙ্গে অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রদেয় অস্ত্র জমা নিতে হবে। কালো টাকার ব্যবহার রোধে নির্বাচন কমিশনের স্বতন্ত্র গোয়েন্দা নজরদারি ইউনিট গঠন করতে হবে।

০৩. নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবল থেকে নির্বাচনি কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে। জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) পরিবর্তে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরকে যথাক্রমে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করতে হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবল বৃদ্ধি করতে হবে। এবং নির্বাচনি কাজে নিযুক্ত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরপেক্ষতা সুনিশ্চিত করতে হবে।

০৪. নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হওয়ার দিন থেকে মাঠে সেনাবাহিনীকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এবং নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ পূর্বে প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত যৌথবাহিনীর কঠোর নিরপেক্ষ অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

০৫. নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য প্রত্যেক নির্বাচন কেন্দ্রে একটি অস্থায়ী মনিটরিং কমিটি নিয়োজিত রাখতে হবে এবং আচরণ বিধি বা শৃঙ্খলা ভঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অধীন কেন্দ্রীয় অভিযোগ বুথ নির্বাচন ভবনে খুলতে হবে, যাতে করে কোন প্রার্থী বা তার প্রতিনিধি বা কোন ভোটার তাৎক্ষণিক সরাসরি অভিযোগ প্রদান করতে পারেন এবং সেমতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

০৬. নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনকারী ও অন্যের নির্বাচনি প্রচার প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এবং অনলাইনে অপপ্রচার রোধে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ সেল সক্রিয় থাকতে হবে।

০৭. প্রবাসী বাংলাদেশিদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দান পদ্ধতিতে এনআইডি অথবা পাসপোর্টের মাধ্যমে ভোটার রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দিতে হবে।

০৮. দেশের ভিতরে চাকুরিজীবিদের (যেমন, আর্মি, পুলিশ, বিডিআর- যারা ছুটি পান না) এবং নির্বাচনি কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করা। অতি বয়স্ক ও প্রতিবন্দীদের মধ্যে যিনি ইচ্ছে করবেন, তিনি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন- এ ব্যবস্থা করতে হবে।

০৯. ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকরা যাতে অবাধে যেতে পারবেন- তা নিশ্চিত করতে হবে। নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের শর্তে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিরাপদ পরিবেশে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিতে হবে।

১০. বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদেরকে শনাক্ত করার সুবিধার্থে নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। ভোট কেন্দ্রে সব প্রার্থীর নির্বাচনি এজেন্টদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ ও নিরাপদ অবস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

১১. সুস্পষ্ট ছবিসহ ভোটার তালিকা পোলিং এজেন্টদেরকে যথা সময়ে সরবরাহ করতে হবে। ১২. দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ