‘বিএনপির কাছে ৫০ আসন চায় জামায়াত’ সংক্রান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জামায়াতের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০৪:০৪ PM , আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:৩৪ PM
দেশের জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকার ১৬ আগস্ট সংখ্যায় প্রথম পৃষ্ঠায় ‘অন্তরালে জোট নিয়ে দৌড়ঝাঁপ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য উপস্থাপন করার দাবি করেছে দলটি। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে এক বিবৃতিতে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘পত্রিকার প্রতিবেদনে ‘জামায়াত বিএনপির কাছে কমপক্ষে ৫০টি আসন চায় বলে জানা গেছে’ মর্মে যে বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই ধরনের আজগুবি তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জোট গঠন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনাই করেনি। অতএব, ৫০টি আসন চাওয়ার কথাটি শুধু হাস্যকর নয়, সম্পূর্ণ মিথ্যাও বটে।
তিনি আরও বলেন, ‘একটি জনপ্রিয় দৈনিকের পক্ষ থেকে এ ধরনের অসত্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা আশা করি, পত্রিকাটি সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখবে। তিনি কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।’
এছাড়া ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির ওয়েবসাইটে গত ১৩ আগস্টে প্রকাশিত ‘জামায়াত নেতার নির্দেশে হত্যাকাণ্ড’ শিরোনামের ভিত্তিহীন ও মিথ্যা প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে প্রকাশিত উক্ত প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, মনগড়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সেখানে জামায়াত নেতাদের নির্দেশে একজন সরকারি কর্মকর্তাকে হত্যা করে তার লাশ সিঁড়ি দিয়ে টেনে তোলার যে দৃশ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা বাস্তবতার সাথে একেবারেই সাংঘর্ষিক। এমন কোনো ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেনি। খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, উক্ত ভিডিওটি আসলে ভারতের বিহার রাজ্যের পশ্চিম চম্পারণ জেলার বেত্তিয়া শহরের সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একটি ঘটনার অংশ-যেখানে ১১ আগস্ট একজন ব্যক্তির মৃতদেহ সিঁড়ি দিয়ে টেনে তোলার দৃশ্য ধরা পড়ে। সেই ভিডিওকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে জামায়াতের নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা চরম বিভ্রান্তিকর ও নিন্দনীয়।
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় একটি প্রভাবশালী গণমাধ্যমের এমন ধরনের অপপ্রচার গোয়েবলসীয় প্রচার কৌশলকেও হার মানিয়েছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতের কিছু মিডিয়া জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ পরিবেশন করে চলেছে; যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণসহ আন্তর্জাতিক সমাজকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, এই ধরনের তথ্যসন্ত্রাসের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। বরং এতে ভারতীয় গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই আমি ভারতীয় মিডিয়াগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার থেকে বিরত থাকে এবং সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতার নীতি অনুসরণ করে।