ছাত্রদলের কমিটিতে পাঁচ পদে ছাত্রলীগ কর্মী, বিতর্কের মুখে স্থগিত

ছাত্রদলের লোগো
ছাত্রদলের লোগো  © টিডিসি ফটো

নাটোরের বড়াইগ্রামের জোনাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিতে ছাত্রলীগের অন্তত পাঁচজন কর্মীকে পদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে সদস্য সচিব ও যুগ্ম আহ্বায়কও রয়েছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত নেতাদের পদ স্থগিত করা হয়।

সোমবার (৯ জুন) রাতে ঘোষিত জোনাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের ২১ সদস্যের এই কমিটিতে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান বিপুল ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম খান কাননের স্বাক্ষরিত কমিটির তালিকা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই অভিযোগ তোলেন যে, কমিটির অন্তত পাঁচ সদস্য আগে থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সমালোচনার অংশ হিসেবে ফেসবুকে তাদের ছাত্রলীগের মিছিল ও সভায় অংশগ্রহণের ছবি শেয়ার করা হয়।

মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় জোনাইল বাজারে নতুন কমিটির পক্ষ থেকে একটি আনন্দ মিছিল ও পথসভা আয়োজন করা হয়। সেখানে সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন অসাবধানতাবশত “আমরা ছাত্রলীগকর্মী” বলে বক্তব্য দেন, যা মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে তা সংশোধন করা হলেও বিতর্ক থামেনি।

পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে বুধবার (১১ জুন) উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পাঁচজনের—সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক রমজান আলী এবং সদস্য আব্দুল্লাহ, সাগর ও জাফর আলীর—পদ স্থগিত করা হয়। উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ছাত্রদল নেতা তুষার হাসান জানান, ঘোষিত কমিটির ২১ সদস্যের মধ্যে অন্তত ১২ জন আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। এ ধরনের অনুপ্রবেশকে তিনি ভুল সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেন।

উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান বিপুল বলেন, একজন নেতার বক্তব্য ও সদস্যদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পদ স্থগিত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ