কোরআনের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শহিদের রক্তের বদলা নিতে চাই: দেলোয়ার হোসেন
- ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ০৫:৩৪ PM , আপডেট: ১০ জুন ২০২৫, ১০:২২ PM

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, বিগত ১৬ বছরে আমাদের ওপর অনেক অন্যায় অত্যাচার, জেল-জুলুম, হামলা-মামলা ও গুম করা হয়েছে। আমাদের ভাইদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। অনেকে বলে, রক্তের বদলে রক্ত, হত্যার বদলে হত্যা, কিন্তু আমরা বলেছি ‘না’। অবশ্যই আমাদের ভাইদের শাহাদাতের প্রতি ফোঁটা রক্তের বদলা আমরা নিতে চাই, সেই বদলা হবে বাংলাদেশকে কোরআনের বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে। মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা জামায়াত আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ইসলাম বিজয়ের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ লড়াই, সংগ্রাম ও কুরবানির মধ্য দিয়ে শাহাদাতের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আজকে ইসলামী আন্দোলনের বিজয়ের সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। এই সম্ভাবনাকে চূড়ান্ত বিজয়ে রূপদান করতে হবে আপনাদের। আপনারা যদি আগামীতে এই বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে না পরেন, তাহলে এটা আপনাদের ব্যর্থতা। কারণ যারা শহীদ হয়েছেন তারা তো পাশ। তাদের রেখে যাওয়া কাজকে আপনাদেরকেই সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন, সারাদেশের মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছে, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রুপসা থেকে পাথুরিয়া, প্রতিটি প্রান্তরের মানুষের মুখে একটাই কথা, সব দল দেখা শেষ, জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ। নীরব ভোট বিল্পব ঘটানোর জন্য আগামীর সময় আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে, আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। কারণ, আল্লাহ ততক্ষণ সে জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে। সুতরাং আপনাদেরকে সে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: আমি নাস্তিক নই, গ্রামের সবাই আমাকে নাস্তিক বলছে—আত্মহত্যার আগে ঢাবি ছাত্রের স্ট্যাটাস
দেলোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আমরা কষ্ট করেছি। জুলুমের শিকার হয়েছি। আমরা শাহাদাৎ বরণ করেছি, শীর্ষ নেতৃত্বকে হারিয়েছি। বছরের পর বছর আমরা জেল খেটেছি, আমাদের নিবন্ধন কেড়ে নেয়া হয়েছে, আমাদের প্রতীক কেড়ে নেয়া হয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ৫ আগস্ট তার পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদেরকে বিজয় দান করলেন। এই বিজয়ের পর একের পর এক যে সিমটমগুলো আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে সেগুলা আগামীর সম্ভাবনার বাংলাদেশ। আমাদের নিবন্ধন ফিরে পেয়েছি, প্রতীক ফিরে পেয়েছি, এটিএম আজহার ভাই মুক্ত হয়েছেন। তার মামলার রায়ের মাধ্যমে শুধু তিনি মুক্ত হননি, সারা বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে। অতীতের মামলাগুলোর রায় ছিল ন্যায় ভ্রষ্ট রায়, উদ্দেশ্য প্রণোদিত রায়, সেটি প্রমাণ হয়েছে।
আগামীতে কেউ যেন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিতে না পারে সে লক্ষ্যে নেতাকর্মীরে সজাগ থাকার নিদের্শনা দিয়ে দেলাওয়ার হোসেন আরও বলেন, যেখানে অন্যায় হবে ধৈর্য ধারণ করবেন, ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। প্রতিরোধে কাজ না হলে সেখানে লড়াই চলবে। লড়াইয়ের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে রুহিয়া থানা আমীর আব্দুর রশিদ এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোস্তাফিজুরের সঞ্চালনায় বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।