মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল ভাঙ্গার প্রতিবাদ

‘নির্দেশদাতা’ জেলা প্রশাসককে আইনের আওতায় আনার দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

ভেঙে ফেলা হচ্ছে ম্যুরালের কিছু কিছু অংশ। গত রবিবারের ছবি
ভেঙে ফেলা হচ্ছে ম্যুরালের কিছু কিছু অংশ। গত রবিবারের ছবি  © সংগৃহীত

লালমনিরহাটে জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দারের ‘নির্দেশে’ মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। এর আগে মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরালটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশদাতা এইচ এম রকিব হায়দারকে দ্রুত সময়ের ভেতরে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন। 

আজ মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা এবং সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ এক যৌথ বিবৃতিতে লালমনিরহাটে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদ জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৩০ মার্চ, লালমনিরহাটে মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, যা আমাদের জাতীয় গৌরবের উপর আঘাত। জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দারের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরালটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে গণমাধ্যম সূত্রে তা জানা গেছে।

‘‘এর আগে স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরালটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল যেন স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করা না যায়। জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দারের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরালটি ভেঙ্গে ফেলা হলেও এখনও পর্যন্ত তাকে চাকুরিচ্যুত করে আইনের আওতায় আনা হয়নি।’’

এতে আরও বলা হয়, আমরা অবিলম্বে লালমনিরহাট জেলার জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দারকে চাকুরিচ্যুত করে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। মুক্তিযুদ্ধের উপর আঘাত বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ মেনে নিবে না। এইচ এম রকিব হায়দারের বিরুদ্ধে যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয় তবে আমরা বাংলাদেশের আপামর জনগণকে সাথে রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হব এবং সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করবো। নেতৃবৃন্দ ৫ আগস্টের পর সারাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য পুনঃনির্মাণের দাবি জানান।


সর্বশেষ সংবাদ