ইতিহাসের ধারক ডাকসু সংগ্রহশালা
- জান্নাতুল ফেরদৌস
- প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪২ PM , আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪২ PM
১৯৯২ সালের ৭ জানুয়ারি ডাকসু ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষে যাত্রা শুরু করে ডাকসুর সংগ্রহশালা। ডাকসুর সমস্ত স্মৃতিচিহ্ন এবং এ দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষিত রয়েছে এ সংগ্রহশালায়। ১৮৮৩ সাল থেকে এ দেশের মুদ্রা, দুর্লভ আলোকচিত্র, পুস্তক, কোলাজ পদ্ধতির পোস্টার, পত্রিকা কাটিং, ভাষা শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র ইত্যাদি ইতিহাসের উপাদান সংরক্ষিত আছে এখানে। এটিকে অনেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'মিনি জাদুঘর' হিসেবে অভিহিত করে।
১৯৯২ সালের ৭ জানুয়ারি ডাকসু ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষে যাত্রা শুরু করে এটি। এখানে প্রবেশের আগে চোখে পড়ে ভবনের দেয়ালে অাঁকা ভাষা শহীদদের ম্যুরাল 'চেতনায় একুশ'। ভেতরে আছে বিভিন্ন সময়ের ছাত্র নেতা, রাজনীতিবিদ, শহীদ, শিক্ষাবিদ, দার্শনিকদের ছবি। সংগ্রহশালার এক কোনায় রয়েছে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক আমতলার আমগাছের ধ্বংসাবশেষ। কক্ষের ভেতরে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি।
এখানে রয়েছে ৩৫ জন ভাষাসৈনিকের মুদ্রিত সাক্ষাৎকার, ভাষা আন্দোলনকেন্দ্রিক ২৯টি পোস্টার, ভাষাসৈনিকদের ১৫টি আলোকচিত্র, মুক্তিযুদ্ধের তথ্যসংবলিত ছবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন ঐতিহাসিক মুহূর্তের আলোকচিত্র, প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, প্রচারপত্র, স্মারকলিপি ইত্যাদি।
বাংলাদেশের সামগ্রিক ইতিহাসের স্থিরচিত্র সংরক্ষণ করা হয়েছে এই সংগ্রহশালায়। আর এই সংরক্ষণের দায়িত্ব গুরুত্ব সহকারে পালন করছেন শ্রী গোপাল চন্দ্র দাস। এই সংগ্রহশালাটিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসবেষ্টিত বিভিন্ন ছবি ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের ছবি, লেখা, খবরের কাগজের কালেকশন এমনকি গোপাল চন্দ্র দাসেরও নিজস্ব তোলা কিছু স্থিরচিত্র ও ভাস্কর্য রয়েছে যেগুলো পুরো পূর্ব বাংলাকে আমাদের চোখেন সামনে হাজির করে।