ছোটবেলায় ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন মুনজেরিন

মুনজেরিন শহীদ
মুনজেরিন শহীদ  © ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন মুনজেরিন শহীদ। এখন পড়ছেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লায়েড লিঙ্গুয়েস্টিক অ্যান্ড সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাকুইজিশন বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়ছেন।

অনলাইন দুনিয়ার অসংখ্য মানুষ তার কাছে ইংরেজি শেখেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যারা নিয়মিত ব্যবহার করেন, তাদের কাছে বেশ পরিচিত টেন মিনিট স্কুলের এই শিক্ষকের ইংরেজি শেখার ভিডিও। সহজ আর সাবলীল পড়ানোর পদ্ধতিই দর্শকদের কাছে বেশ পছন্দ।

মুনজেরিন জানান, নিজেকে তারকার চেয়ে শিক্ষক হিসেবেই বেশি দেখি। একেক সময়ে একেক ধরনের জীবনের লক্ষ্য ছিল তার। ছোটবেলায় তিনি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ইংরেজি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। সেখান থেকে আজ এ পর্যন্ত আসা। সম্প্রতি জার্মান ভিত্তিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ডয়চে ভেলে বাংলাকে দেওয়া তার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সব বিষয় উঠে আসে।

ছোটবেলায় আসলে কী হতে চেয়েছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মুনজেরিন বলেন, একেক সময়ে একেক ধরনের এইম ইন লাইফ ছিল৷ অনেক ছোটবেলায় আমি ডাক্তার হতে চাইতাম। তারপর ডাক্তারদের মেডিকেলের গাইডবুক দেখে আমার মনে হয়, ডাক্তারি আমাকে দিয়ে হবে ন। তারপর ভাবলাম, আর্কিটেকচার পড়বো। মাঝখানে অনেক দিন ধরে পাইলট হওয়ারও ইচ্ছা ছিল। এ রকম অনেক ধরনের ইচ্ছাই ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ইংলিশ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। ইংরেজি শিক্ষা নিয়ে কাজ করার সুযোগ হয়েছে টেন মিনিটস স্কুলে এসে। সবকিছু মিলিয়ে পরে ভাবলাম, শিক্ষকতা আমার জন্য অনেক ভালো।

ইংরেজি সাহিত্যে কেন পড়তে আসলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইংরেজি বিষয়টা আমার স্কুল থেকেই অনেক বেশি ভালো লাগতো। আমি স্কুলে থাকতে ইংরেজি পড়তে, গল্পের বই পড়তে, অন্যদেরকে ইংরেজি পড়াতে খুব বেশি পছন্দ করতাম। এ কারণেই ভাবলাম, এই বিষয়টা ইউনিভার্সিটিতে উঠে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। কারণ আমি সবসময় চাইতাম, আমি এমন কিছু একটা পড়বো, যেটাতে আমি ভালো, যেটা আমি উপভোগ করি। সে কারণেই ইংরেজিটা বেছে নেয়া।

দেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিটস স্কুলর মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান এবং ইংরেজির শিক্ষক তিনি। তুমুল জনপ্রিয় হওয়া তার ইংরেজি ভিডিও লেকচারগুলো তৈরির কাজ তিনি শুরু করেছিলেন গত বছরের করোনা শুরুর পর থেকে। তার মতে, লকডাউনের হতাশায় বন্ধুদের পরামর্শে তিনি ভিডিও তৈরি শুরু করেন৷

এরপর ইংরেজি ভাষা শিক্ষার উপর দুইটি বই লেখেন। পিডিএফ সংস্করণ বাজারে আসার পর সেগুলোও পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে। এরপর এবারের অমর একুশে বইমেলায় আসে প্রিন্টেড সংস্করণ, যা উঠে আসে সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের তালিকায়। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

সেই সমালোচনা কীভাবে দেখছেন? মুনজেরিন জানান, এটা আসলে যার যার মন্তব্য তার তার কাছে। সবারই নিজেদের মন্তব্য শেয়ার করার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে৷ এটাকেও আমি অনেক গঠনমূলকভাবে নিচ্ছি৷ ইতিবাচকভাবে নেয়ার চেষ্টা করছি।


সর্বশেষ সংবাদ