রেঁনেসার কবি ফররুখ আহমদের জন্মদিন আজ

কবি ফররুখ আহমদের ১০২তম জন্মদিন আজ। ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার (তৎকালীন যশোর জেলা) মাঝ আইল গ্রামে সৈয়দ হাতেম আলী ও রওশন আখতার দম্পতির ঘরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

জন্মগ্রামে পড়াশোনা শুরু করলেও পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে কলকাতায় চলে যেতে হয় কবিকে। সেখানে এম.ই. স্কুল ও বালিগঞ্জ স্কুলে পড়াশোনা করেন। এরপর স্কুল বদল। চলে আসেন খুলনা জেলা স্কুলে। খুলনা জেলা স্কুল থেকে প্রকাশিত সাময়িকীতেই কবি ফররুখ আহমদের প্রথম কবিতা ছাপা হয়। এখান থেকে তিনি মেট্রিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পাশ করে রিপন কলেজে ভর্তি হন। এখান থেকে তিনি ১৯৩৯ সালে আই.এ পাশ করে ১৯৪১ সালে কলকাতা সিটি কলেজে ভর্তি হলেও নানা জটিলতার কারণে শেষ পর্যন্ত বি.এ পরীক্ষা দিতে পারেননি।

পেশাগত জীবনে ঢাকা বেতারে স্টাফ আর্টিস্টের কাজ করতেন তিনি। আমৃত্যু সেখানেই কর্মরত ছিলেন।

সে সময়ের উল্লেখযোগ্য পত্রিকা সওগাত, বুলবুল, মৃত্তিকা, পরিচয় ইত্যাদি পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন। ১৯৪৪ সালে কলকাতায় থাকাকালে কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ প্রকাশিত হয়। এর দু বছর পর অর্থাৎ ১৯৪৬ সালে তাঁর ‘আজাদ করো পাকিস্তান’ নামে আরও একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়।

ফররুখ আহমদের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো যথাক্রমে— সাত সাগরের মাঝি (১৯৪৪) সিরাজাম মুনীরা (১৯৫২), নৌফেল ও হাতেম (১৯৬১), মুহূর্তের কবিতা (১৯৬৩), ধোলাই কাব্য (১৯৬৩), হাতেম তায়ী (১৯৬৬), কাফেলা (১৯৮০), সিন্দাবাদ (১৯৮৩) ও দিলরুবা (১৯৯৪)।

কবি ফররুখ আহমদ ১৯৬০ সালে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার, একই সালে সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার, ‘হাতেম তায়ী’ কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯৬৬ সালে আদমজী পুরস্কার, এবং একই সালে শিশুতোষগ্রন্থ ‘পাখির বাসা’র জন্য পান ইউনেস্কো পুরস্কার।

মৃত্যুর পর আরো তিনটি পুরস্কারে ভূষিত হন কবি। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একুশে পদক, ১৯৮০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার ও ১৯৮৪ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মরণোত্তর পুরস্কার পান তিনি।

১৯৭৪ সালের ১৯ অক্টোবর ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেনে তার মৃত্যু হয়।


সর্বশেষ সংবাদ