কবি রফিক আজাদের স্ত্রীর বাড়ির একাংশ গুড়িয়ে দেওয়া নিয়ে যা জানা গেল

বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু করে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ
বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু করে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ  © সংগৃহীত

প্রয়াত কবি রফিক আজাদের ধানমণ্ডির বাড়ির একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু করে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। এ সময় বাড়িটির পূর্বাংশের দুটি ইউনিট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

ধানমণ্ডির ১ নম্বর সড়কের ১৩৯/৪এ ঠিকানার একটি চার ইউনিটের বাড়ির দুটি অংশ আজ বুধবার উচ্ছেদ করা হয়েছে। এই বাড়ির একটি ইউনিটে থাকেন কবি রফিক আজাদের স্ত্রী ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা দিলারা হাফিজ। উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে বাড়ির পূর্বাংশের দুটি ইউনিটে, যা অন্যদের নামে বরাদ্দ ছিল।

প্রায় পাঁচ কাঠা জায়গাজুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়িটি ১৯৮৮ সালে সাময়িক বরাদ্দ দেয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ‘এস্টেট অফিস’। তখন দিলারা হাফিজ ছিলেন ইডেন কলেজের প্রভাষক। বরাদ্দপত্রে স্পষ্টভাবে বলা হয়, এটি কোনো মালিকানা প্রদান নয়, বরং পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

তবে পরে সৈয়দ নেহাল আহাদ নামে এক ব্যক্তি বাড়িটির মালিকানা দাবি করে আদালতের শরণাপন্ন হন। ২০১২ সালে আদালতের রায়ে মালিকানা তার পক্ষে যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দিলারা হাফিজ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং হাউজিং অ্যান্ড পাবলিক ওয়ার্কস বিভাগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত তখন বাড়িটির ওপর ‘স্থিতাবস্থা’ জারি করেন এবং ২০১৩ সালে সেটি স্থায়ী করা হয়। চলতি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ নির্ধারিত রয়েছে আগামী ২৫ মে।

দিলারা হাফিজ জানান, মামলার বিচারাধীন অবস্থায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো অত্যন্ত হতাশাজনক। তিনি বলেন, “জাতীয় জীবনে রফিক আজাদ একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি। তার স্মৃতিকে ধারণ করে রাখা এই বাড়িটির স্থায়ী বন্দোবস্ত চেয়ে আমি সম্প্রতি গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দিয়েছি। কিন্তু মামলা চলার মাঝেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলো, এটা আমি কল্পনাও করিনি।”

জানা যায়, দিলারা হাফিজ শিক্ষা ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে দীর্ঘ সময় সরকারি দায়িত্বে ছিলেন। সর্বশেষ তিনি সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে অবসর নেন। বর্তমানে তার দুই সন্তান প্রবাসে অবস্থান করছেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence