উচ্চমাধ্যমিকে ইংরেজিতে ৩ নম্বর পেয়েও পাস করানোর দাবি!
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২২, ১১:০৮ AM , আপডেট: ১৬ জুন ২০২২, ১১:১২ AM
ভারতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করতে না পারায় রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ করছেন অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা, এমনকি অনেকেই তাদেরকে পাস করিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেকেই ইংরেজি বিষয়ে লিখিততে ১০ নম্বরেও কম পেয়েছেন। তবুও তারা বিদ্যালয়ে এসে পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, এ ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের পিংবনী উচ্চ বিদ্যালয়ের।
ওই পরীক্ষার্থীর বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, অন্য বিষয়গুলোয় ভালো ফল এলেও ইংরেজিতে পাস করেননি তিনি। ইংরেজির নম্বর খুবই কম। পাস করানোর দাবি জানাচ্ছে এদিন বিদ্যালয়ে এসেছিল একদল শিক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক প্রলয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কয়েকজন ছাত্রী বিদ্যালয়ে এসেছিল। তাদের কথা তারা বলেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আশ্বাস দিয়ে তাদের জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীরা রিভিউয়ের আবেদন করতে পারে। আবেদন করার ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে স্কুল সহযোগিতা করবে।
জানা গেছে, এই বিদ্যালয়টি থেকে এ বছর ১২২ জন শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেন। এদের মধ্যে ৯৬ জন কৃতকার্য হলেও ২৬ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অকৃতকার্যরা সবাই ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন। এর মধ্যে একজন ছাত্রী ইংরেজি বিষয়ে ৩ পেয়েছেন, আরেকজন ছাত্রী পেয়েছেন ৫ নম্বর। এছাড়া তিনজন ছাত্রী পেয়েছেন ৭ নম্বর।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ভাল পরীক্ষা দেওয়ার পরও তাদের ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে! অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের একজন মৌসুমী ভুঁইয়া। তিনি জানান, অন্য সব বিষয়ে ভাল নম্বর এলেও ইংরেজিতে পাস নম্বর আসেনি। আমাদের উত্তরপত্র দেখতে কোনো না কোনো গাফিলতি হয়েছে। আমরা চাই, আমাদের যেন পাস করানো হয়।
এ ব্যাপারে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা অ্যাডভাইজ়ারি কমিটির সদস্য অরূপ ভুঁইয়া’র বরাতে আনন্দবাজার জানিয়েছে, পাস করানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো অনুচিত। ওই পরীক্ষার্থীদের এখন উচিত রিভিউয়ের জন্য আবেদন করা। পাশাপাশি পরের বছর যাতে ভালভাবে পরীক্ষা দিতে পারে, সেই জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া।
প্রসঙ্গত, উচ্চমাধ্যমিকে পাসের হারে পশ্চিম মেদিনীপুর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই জেলা থেকে প্রায় ৩৯ হাজার পরীক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেন। পাসের হার ৯৬.২৯ শতাংশ অর্থাৎ ৩৭ হাজারেরও বেশি।