জেলেনস্কি চা-য়ে চুমুক দিয়ে চাঙ্গা হচ্ছেন ভারতীয়রা

জেলেনস্কি চা
জেলেনস্কি চা  © সংগৃহীত

ভারতের বাজার সরগরম জেলেনস্কি চায়ে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধকে পুঁজি করে ভারতীয় একটি স্টার্ট আপ সংস্থা আসামে নিয়ে এসেছে ‘জেলেনস্কি চা’। এই সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অসীম সাহস আর বীরত্বকে সম্মান জানাতেই তাদের নতুন চা-ব্র্যান্ডের নাম দেয়া হয়েছে জেলেনস্কি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চায়ের কাপে আগেই ঝড় তুলেছিল। এ বার মিশে গেল লিকারেও।

সংস্থাটির প্রধান রণজিৎ বড়ুয়া জানিয়েছেন, জেলেনস্কি নামের ওই চায়ের লিকার খুবই কড়া। রণজিৎ বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন ছেড়ে জেলেনস্কিকে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে দেশের মানুষের পাশে থেকে গিয়েছেন। সাহস জুগিয়ে যাচ্ছেন সেনা সদস্য এবং সাধারণ মানুষকে। তার সেই সাহস ও বীরত্বকে সম্মান জানানোই ছিল আমাদের মূল উদ্দেশ্য।

আরও পড়ুন- ইউক্রেনের স্কুলে রুশ সেনাদের হামলা, নিহত ২১ 

ন্যাটোতে যোগদানের আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ন্যাটোতে যোগদানের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন মার্কিনপন্থী। সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙে ইউক্রেন গঠনের পর থেকে দেশটির সরকার সবসময় রাশিয়ার অনুগত ছিলো। প্রথমবারের মতো জেলেনস্কি এই বৃত্ত থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি রাশিয়ার শত্রু আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন।

একই সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখছিলেন। যা ভালো ভাবে নেয়নি রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয় রাশিয়ার ওপর। এতে রাশিয়া বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাশিয়াও পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। রাশিয়া ইউরোপের অন্যতম গ্যাস ও তেল রপ্তানিকারক। যে কারণে যুদ্ধের পর বিশ্বে তেলের দাম হু হু করে বেড়েছে।

যুদ্ধ বন্ধে ইতোমধ্যে দুই দেশ বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসেছে। আশা করা যাচ্ছে, শীঘ্রই যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা আসতে পারে।


সর্বশেষ সংবাদ