সবাই আমার সঙ্গে আছে: মুসকান
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:৩৫ AM , আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:১২ AM
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে সম্প্রতি সরকারি কলেজে নির্দিষ্ট পোশাক পরার নিয়ম জারি করা হয়েছে। তবে এর প্রতিবাদ জানিয়ে হিজাব পরার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মুসলমান ছাত্রীরা।
এদিকে, সেখানকার একটি সরকারি কলেজে হিজাব পরাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিতর্কে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় আগামী তিন দিনের জন্য রাজ্যের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মুখ্যমন্ত্রী বাসাভারাজ এস বোম্মাই এক টুইট বার্তায় এই ঘোষণা দেন।
হিজাব বির্তকের মধ্যে ভয় উপেক্ষা করে হিজাব পরে ওই রাজ্যের একটি কলেজে উপস্থিত হন এক ছাত্রী। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রবেশ করার সময় বেশকিছু তরুণ তাকে ভয়-ভীতি দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি একা থাকা স্বত্ত্বেও সেই ছাত্রদের সামনে প্রতিবাদ করে। পরবর্তীতে শিক্ষকরা এসে তাকে সরিয়ে দেয়।
ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ওই ছাত্রীর নাম মুসকান খান। তিনি ওই কলেজের বিকম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সংবাদমাধ্যমটিকে তিনি বলে এক ওই গেরুয়া কাপড়ধারীদের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়ে ‘চিন্তিত নন’ এবং তিনি হিজাব পরার অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন। .
এনডিটিভিকে সাক্ষাৎকারে ওই ছাত্রী বলেন, আমি অ্যাসাইনমেন্টের কাজে কলেজে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বোরকা পরে থাকায় আমাকে কলেজে প্রবেশ করতে দিচ্ছিল না। তারা জয় শ্রীরাম বলে স্লোগান দিচ্ছিল। আমি একটুও ভয় পাইনি। আমিও আল্লাহু আকবার বলে স্লোগান দেই। পরে শিক্ষকরা এসে আমাকে সরিয়ে দেন।
তিনি বলেন, ওই পুরুষ দলের ১০ শতাংশকে কলেজের বলে চিনতে পেরেছেন, বাকিরা বাইরের লোক বলে মনে হয়েছিল।
এ ঘটনার পর চিন্তিত এবং নিজেকে অনিরাপদ মনে করছেন কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি নিজেকে নিরাপদ মনে করছি। কারণ এ ঘটনার পর পুলিশসহ অনেকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা এ ঘটনা নিয়ে চিন্তা না করতে বলেছেন এবং সবাই আমার সঙ্গে আছে— এ আশ্বাস আমি পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অগ্রাধিকার আমাদের শিক্ষা। তারা আমাদের শিক্ষাকে নষ্ট করছে।