নিজের প্রিয় মানুষদের হাতেই প্রতি ১০ মিনিটে ১ নারী খুন: জাতিসংঘ

২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৯ AM , আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৯ AM
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি © সংগৃহীত

২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপি ৮৩ হাজার নারী খুনের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬০ শতাংশই নিজেদের কাছের মানুষের হাতে খুন হয়েছেন। ৫০ হাজারের বেশি নারী ও কন্যাশিশু ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) জাতিসংঘের দেওয়া এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে ২০২৪ সালে কেবল ঘনিষ্ঠজনদের হাতেই প্রতিদিন গড়ে ১৩৭ নারী খুন হয়েছেন, অর্থ্যাৎ প্রতি ১০ মিনিটে একজন। ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বা পরিবারের হাতে নারী খুনের হার সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়; এরপরের স্থানগুলোতে আছে আমেরিকা, ওশেনিয়া, এশিয়া ও ইউরোপ।

২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন নির্মূল দিবসের প্রেক্ষিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তর (ইউএনওডিসি) এবং ইউএন উইমেন সতর্ক করে জানিয়েছে, ফেমিসাইড বা নারী হত্যার ঘটনা প্রতি বছর লাখ লাখ নারীর প্রাণহানির কারণ হচ্ছে, কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনো বাস্তব অগ্রগতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী সবমিলিয়ে ৮৩ হাজার নারী ও মেয়ে ‘ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ডের’ শিকার হয়েছে। যার ৬০ শতাংশই হয়েছে সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যদের হাতে, জাতিসংঘের বার্ষিক ‘লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনের ক্যাম্পেইন’ শুরুর দিনে প্রকাশিত।

নারীদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এতটা করুণ হলেও পুরুষদের ক্ষেত্রে মাত্র ১১ শতাংশকে সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যরা খুন করেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব হত্যার অনেকগুলোই প্রতিরোধযোগ্য ছিল। কিন্তু সুরক্ষা ব্যবস্থার ঘাটতি, পুলিশি প্রতিক্রিয়ার সীমাবদ্ধতা এবং সামাজিক সহায়তার অভাবে নারীদের ঝুঁকি প্রতিনিয়তই বাড়ছে।

নিহতের এই সংখ্যাও প্রকৃত নয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনেক দেশ থেকে ঠিকমতো তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি, অনেকে খুনের খবর পুলিশকে জানাতে ভয় পান, আবার অনেক দেশে আইনি সংজ্ঞাজনিত নানান জটিলতাও অনেক খুনকে আড়াল করে দেয়, বলছে ইউএন উইমেন।

আর্থিক অস্থিতিশীলতা, সংঘাত, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ও নিরাপদ আবাসের অভাব নিপীড়নমূলক পরিস্থিতিতে আটকা নারীদের ঝুঁকি আরও তীব্র করছে, বলছেন গবেষকরা। ইউএনওডিসির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক জন ব্রান্ডোলিনো বলেছেন, ‘বিশ্বজুড়ে বহু নারী ও মেয়ের জন্য নিজের বাড়িই সবচেয়ে অনিরাপদ, কখনও কখনও প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।’

ইউএন উইমেনের কর্মকর্তা সারা হেনড্রিকস বলেছেন, ‘নারী হত্যা (ফেমিসাইড) প্রায়শই এমন এক ‘ধারাবাহিক সহিংসতার’ এমন এক সহিংসতার পথের শেষ ধাপ, যা শুরু হতে পারে নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণ, হয়রানি এবং অনলাইন নির্যাতন থেকে।’

‘ডিজিটাল সহিংসতা কেবল অনলাইনে সীমাবদ্ধ থাকে না, এটি বাস্তবজীবনেও প্রভাব ফেলতে পারে এবং সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে এটি প্রাণঘাতীও হতে পারে।’

 

 

 

 

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরের পোস্টার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্…
  • ০১ জানুয়ারি ২০২৬
পদত্যাগের আগেই এনসিপির গ্রুপ থেকে বের করে দেয়া হয় তাসনিম জা…
  • ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
‘এর চেয়ে বিকট আওয়াজ আর আগুন তোমাকে দিশেহারা করার অপেক্ষায়’
  • ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
বছর শেষে দুঃসংবাদ পেলেন এমবাপে
  • ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
মেট্রো স্টেশনের প্লাটফর্মেও খালেদা জিয়ার জানাজা আদায় করলেন …
  • ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাস হয়ে থাকবেন : মাসুদ সাঈদী
  • ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫