এলডিসি উত্তরণ

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল

জাতিসংঘ
জাতিসংঘ  © সংগৃহীত

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের সময়সীমা পেছানোর দাবিতে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল। জাতিসংঘের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের কার্যালয়ের পরিচালক রোনাল্ড মোলেরুসের নেতৃত্বে দলটি আগামী ১০ থেকে ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সফর করবে।

প্রতিনিধিদলটি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, ব্যবসায়ী সংগঠন, নাগরিক সমাজ ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠক করবে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে একটি স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরামর্শভিত্তিক প্রতিবেদন তৈরি করবে।

এর আগে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে এলডিসি থেকে উত্তরণের সময়সীমা ২০২৬ সাল থেকে পিছিয়ে ২০৩২ সাল করার দাবি জানায় শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠনগুলো। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, এলডিসি থেকে বের হলে রপ্তানি খাত বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যসহ প্রধান বাজারে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা হারিয়ে রপ্তানি ৬ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকদের মতে, এলডিসি থেকে বের হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে রপ্তানি খাত। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আওতায় শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে এবং ওষুধশিল্পের ওপর মেধাস্বত্বের বিধিবিধান আরও কঠোর হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ১২ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ হতে পারে, যা প্রতিযোগিতা সক্ষমতাকে বড়ভাবে প্রভাবিত করবে।

এই প্রেক্ষাপটে সরকার ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ জাতিসংঘকে জানিয়ে বিষয়টি নিয়ে স্বাধীন মূল্যায়নের অনুরোধ জানায়। তবে এখন পর্যন্ত এলডিসি থেকে উত্তরণের সময়সীমা আনুষ্ঠানিকভাবে পিছিয়ে দেওয়ার কোনো অনুরোধ জাতিসংঘকে জানায়নি বাংলাদেশ।

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশ যেসব সমস্যার মুখে পড়তে পারে, তা উল্লেখ করে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জাতিসংঘে পাঠানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে আসছে এবং তারা বেসরকারি খাতসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করবে।’


সর্বশেষ সংবাদ