কাতারের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান-আফগানিস্তানের যুদ্ধবিরতি
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৫৬ AM
কাতারের কূটনৈতিক মধ্যস্থতায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার ভোরে এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। কাতারে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় তুরস্ক-ও সহ-মধ্যস্থতাকারী হিসেবে অংশ নেয়।
কাতার জানায়, শনিবার (৯ অক্টোবর) দোহায় বৈঠকে বসে দুই দেশের প্রতিনিধিদল এবং তারা তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দুই পক্ষ শিগগিরই ফলোআপ বৈঠকে বসবে বলেও জানানো হয়।
২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কের টানাপড়েন বাড়ে। তবে গত দুই সপ্তাহে সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ চরমে পৌঁছায়, যেখানে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি এবং হাজারো আহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আলোচনায় আফগান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব, এবং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ।
পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে যে, আফগানিস্তান তাদের সঙ্গে থাকা প্রায় ২,৬০০ কিলোমিটার সীমান্তে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের আশ্রয় ও মদদ দিচ্ছে। এরই জের ধরে দুই সপ্তাহ আগে পাকিস্তান কাবুলে বিমান হামলা চালায়, যার জবাবে আফগান সেনারা সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর হামলা চালায়।
এরপর পরিস্থিতি দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়। গত সপ্তাহে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও তার পরপরই ফের পাকিস্তান আফগান সীমান্ত এলাকায় বিমান হামলা চালায়। যদিও এর আগে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
গত শুক্রবার আফগান সীমান্তঘেঁষা পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর সন্ত্রাসীরা আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে সাতজন পাক সেনাকে হত্যা করে। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করে।
আফগানিস্তান শুরু থেকেই এ দাবি করে আসছে যে, তারা কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় বা সহায়তা দেয় না।
সূত্র: রয়টার্স