ভুটানের সঙ্গে প্রথম আন্তঃসীমান্ত রেলপথ নির্মাণ করছে ভারত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

ভুটানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আন্তঃসীমান্ত রেলপথ নির্মাণ করছে ভারত। ৪৫৪ মিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্প আগামী চার বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দিয়েছে নয়াদিল্লি।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, ভুটানের অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক আধুনিকায়নে প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে নয়াদিল্লি সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে এসেছে। তার ভাষায়, নতুন এই রেলপথ ভুটানের জনগণের জন্য বিরাট সুফল বয়ে আনবে।

ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পুরো অঞ্চল সরাসরি সংযুক্ত হবে। এখন যেসব পণ্য পরিবহনে কয়েকদিন সময় লাগে, তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

প্রথম ধাপে ৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৪৫৬ কোটি রুপি (৩৯০ মিলিয়ন ডলার)। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের সীমান্তবর্তী শহর গেলেফু পর্যন্ত এই সংযোগ স্থাপিত হবে। গেলেফু সীমান্ত শহরটির জনসংখ্যা প্রায় ১০ হাজার এবং এটিকে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায় ভুটান।

দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ নির্মাণ করা হবে। ৫৭৭ কোটি রুপি ব্যয়ে এই সংযোগ হবে ভুটানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শিল্পকেন্দ্র সামতসে থেকে ভারতের বানারহাট পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, চীন ও ভারতের মাঝখানে অবস্থিত পাহাড়ঘেরা ভুটানের জনসংখ্যা মাত্র আট লাখেরও কম। দেশটি বহু আগে থেকেই “গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস” বা জাতীয় সুখকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপরে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। তবে গেলেফুকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে চায় তারা, যেখানে বিদেশি বিনিয়োগ ও পর্যটন আকর্ষণের পরিকল্পনা রয়েছে।

বিক্রম মিশ্রি জানান, এই প্রকল্প ভুটানকে শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গেও অর্থনৈতিকভাবে যুক্ত করার সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।

অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, রেললাইনগুলো হবে বিদ্যুৎচালিত এবং যতটা সম্ভব পরিবেশবান্ধবভাবে নির্মাণ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ