আনন্দবাজার পত্রিকা
ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশের বিমানঘাঁটির দখল নিতে চান ট্রাম্প! নজর ভারতেও?
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৮ PM , আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২৭ PM
আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি পুনর্দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে এত দিন আকার-ইঙ্গিতে কথা বললেও সম্প্রতি সরাসরি তালেবান সরকারকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাগরাম বিমানঘাঁটি আমেরিকাকে ফেরত না দিলে আফগানিস্তানের খারাপ হবে।’
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাগরাম ঘাঁটি ফের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত চারটি উদ্দেশ্য রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম চীনকে লক্ষ্য করা। ঘাঁটিটি থেকে চীনের সীমান্তের দূরত্ব মাত্র পাঁচশ মাইল।
গত বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকেও বিষয়টি তোলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো কারণ ছাড়াই বাগরাম ওদের দিয়ে দিয়েছিলাম। তবে আমরা সেটি ফেরত নেওয়ার চেষ্টা করছি।’ আফগান প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
সিএনএনের সূত্র জানায়, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ ঘাঁটিকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র চারটি দিক বিবেচনা করছে—চীনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা, আফগানিস্তানের বিরল খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার, সন্ত্রাস দমন এবং তালেবানের সঙ্গে নতুন করে কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করা।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের প্রতিও নজর রাখতে চাইছেন ট্রাম্প। শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের টানাপোড়েন চলছে। এর মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চীন সফর করে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ফলে বাগরাম ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণকে ভারত-চীন ঘনিষ্ঠতার ওপর প্রভাব বিস্তারের কৌশল হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
ট্রাম্প সরাসরি বলেছেন, বাগরাম ঘাঁটির আরেকটি গুরুত্ব হলো চীনের সামরিক ঘাঁটির সান্নিধ্য। তাঁর দাবি, ‘চীন যেখানে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে, সেখান থেকে বাগরাম মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে। আমি ক্ষমতায় থাকলে সেনা সরত ঠিকই, কিন্তু বাগরাম কখনো ছেড়ে দিতাম না।’
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা উপস্থিতির সময় বাগরাম বিমানঘাঁটি ছিল অন্যতম প্রধান ঘাঁটি। জর্জ বুশ ও বারাক ওবামাসহ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টরা একাধিকবার এ ঘাঁটি পরিদর্শন করেছিলেন। বর্তমানে ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণে আছে তালেবান সরকার।
রবিবার এক বিবৃতিতে আফগান প্রশাসন ট্রাম্পের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানায়। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আফগানিস্তানের মাটি থেকে এক ইঞ্চিও কোনো বিদেশি শক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।