যে অ্যাপসের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নিল নেপালের ‘জেন-জি প্রজন্ম
- টিডিসি ওয়ার্ল্ড
- প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩৫ PM
নেপালে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। তবে এ নিয়োগ শুধু ইতিহাসে প্রথম নারী অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর খেতাবই আনেনি, বরং তার পেছনে রয়েছে ‘জেন জি’ প্রজন্মের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রাজনৈতিক অংশগ্রহণের এক অভিনব উদাহরণ।
সুশীলা কার্কিকে নির্বাচিত করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে অনলাইন চ্যাটিং অ্যাপ ডিসকর্ড। প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগের পর, ‘ইউথ অ্যাগেইনস্ট করাপশন’ নামে ডিসকর্ড সার্ভারে ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি সদস্য তাদের পরবর্তী নেতা নির্বাচনের জন্য অনলাইনে ভোটাভুটি আয়োজন করে। ডিসকর্ড মূলত গেমারদের জন্য তৈরি হলেও, মহামারীর সময় বিশেষ করে ‘জেন জি’ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়ে এবং এটি রাজনৈতিক এবং সামাজিক আলোচনার প্ল্যাটফর্মে রূপ নেয়।
ডিসকর্ড সার্ভারগুলোতে ব্যবহারকারীরা টেক্সট, অডিও ও ভিডিও চ্যানেলে আলোচনা করতে পারে। একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে তারা নির্বাচন সম্পর্কিত তথ্য, ফ্যাক্ট-চেক, জরুরি হেল্পলাইন এবং মাঠের আপডেট শেয়ার করে। একটি সার্ভারে ৫ লাখ পর্যন্ত সদস্য এবং আড়াই লাখ সক্রিয় সদস্য থাকার সুবিধা থাকায়, এটি গণআন্দোলনের সময় দ্রুত তথ্য আদান-প্রদানের উপযোগী হয়ে ওঠে।
সুশীলা কার্কি নির্বাচনের আগে ৭ হাজার ৭১৩টি ভোট পান এবং ৫০ শতাংশ ভোট প্রাপ্তির পর সার্ভারটি ঐকমত্যে পৌঁছায়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল এবং সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগডেলের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। তবে কিছু ‘জেন জি’ সদস্য ভোটাভুটির প্রক্রিয়ার ত্রুটিপূর্ণ দিক তুলে ধরে তার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এ ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গেছে, কিভাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যেমন ডিসকর্ড তরুণ প্রজন্মকে দেশীয় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে পারে, যেখানে প্রচলিত রাজনৈতিক চ্যানেলগুলোতে তাদের সরাসরি উপস্থিতি সম্ভব নাও হতে পারে। নেপালের এই অভিজ্ঞতা একটি নতুন উদাহরণ হিসেবে সামনে এসেছে, যেখানে প্রযুক্তি ও সামাজিক আন্দোলন একত্রিত হয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সংবাদ সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে