যে কারণে ভয়েস অব আমেরিকার ৫০০ সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করছে ট্রাম্প
- টিডিসি ওর্য়াল্ড
- প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৫৯ AM , আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪১ AM
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকায় (ভিওএ) বড় ধরনের ছাঁটাই শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। রবিবার (৩১ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটির মূল সংস্থা ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়া (ইউএসএজিএম) জানিয়েছে, তারা ৫৩২টি পদ বিলুপ্ত করছে। এর মধ্যে অধিকাংশই ভিওএর বিভিন্ন বিভাগের। ছাঁটাই শেষে মাত্র ১০৮ জন কর্মী ভিওএতে অবশিষ্ট থাকবেন।
ইউএসএজিএম-এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান কারি লেক রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, “এই পদক্ষেপ ফেডারেল আমলাতন্ত্র হ্রাস করবে, কার্যকারিতা বাড়াবে এবং করদাতাদের অর্থ সাশ্রয়ে সহায়তা করবে। তবে সংস্থাটির কর্মচারী ইউনিয়ন এই সিদ্ধান্তকে “অবৈধ”আখ্যা দিয়েছে।এর আগে গত জুন মাসে ৬৩৯ জন কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেওয়া হলেও কাগজপত্রের ত্রুটির কারণে তা স্থগিত করা হয়। পরে কিছু কর্মী আদালতের শরণাপন্ন হন।
সম্প্রতি আদালতের এক রায়ে বলা হয়, ভিওএর সাবেক পরিচালক মাইকেল আব্রামোভিটজ-কে বরখাস্তের ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। সেই রায়ের পর শুক্রবার রাতে নতুন করে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা আসে।
কর্মচারীরা বলছেন, এ পদক্ষেপ ভয়েস অব আমেরিকা ধ্বংসের একটি ধারাবাহিক প্রচেষ্টা। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, “কারি লেকের নেতৃত্বে ভিওএ কাঠামোগতভাবে দুর্বল করা হচ্ছে। আদালতে তার জবানবন্দিতে আমরা দেখতে চাইব, কংগ্রেস নির্ধারিত আইন অনুসরণ করে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না।”
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি প্রচারণার জবাবে ভয়েস অব আমেরিকার যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এটি বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যম, যা প্রায় ৫০টি ভাষায় রেডিও, টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদ প্রচার করে।
ভিওএর অধিকাংশ সাংবাদিক চলতি বছরের মার্চ থেকে প্রশাসনিক ছুটিতে রয়েছেন। তবে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ শুরুর সময় ফারসি বিভাগের কিছু সাংবাদিককে আবার ডাকা হয়। অন্যদিকে, মায়ামি থেকে পরিচালিত স্প্যানিশ ভাষার কিউবা সম্প্রচার বিভাগ এই ছাঁটাইয়ের আওতার বাইরে থাকবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই ছাঁটাই শুধু সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক কূটনীতিতেও এর প্রভাব পড়বে। কারণ, ভিওএ দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের ‘সফট পাওয়ার’ কৌশলের অংশ হিসেবে কাজ করে আসছে।
সংবাদসুত্রঃ বিবিসি