ইরান-ইসরাইল সংঘাত
পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা বন্ধ, পরিস্থিতি জটিল
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ০৯:৩৩ PM , আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ০৮:১৮ PM
ইসরায়েলের টানা সামরিক হামলার মধ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো আলোচনা নয় এমন কঠোর অবস্থান জানিয়েছে ইরান। তেহরান বলেছে, ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও কোনো আলোচনায় বসা সম্ভব নয়। খবর রয়টার্সের।
ইসরায়েলের দাবি, তারা তেহরানের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কারখানাসহ বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। পাল্টা জবাবে শুক্রবার ইরান ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে ইসরায়েলের বেইরশেবা, তেলআবিব ও হাইফায় হামলা চালায়। এতে দুইজন আহত হন। ফারস সংবাদ সংস্থার বরাতে জানা যায়, ইরান ভারী ও দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করেছে, লক্ষ্য ছিল সামরিক ও কন্ট্রোল সেন্টারগুলো।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে জেনেভায় আলোচনা করছেন। যদিও ওয়াশিংটন আলোচনায় আগ্রহী, কূটনীতিকরা বলছেন, তাৎক্ষণিক অগ্রগতির সম্ভাবনা ক্ষীণ।
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাবস্থার কারণে জ্বালানি সরবরাহে সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে কাতার জরুরি বৈঠক করেছে জ্বালানি খাতের বড় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে। লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে সরবরাহ সংকট সম্পর্কে সতর্ক করা। যদিও কাতারএনার্জি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিউম্যান রাইটস অ্যাকটিভিস্ট নিউজ এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ইরানে ৬৩৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারাও রয়েছেন। অন্যদিকে ইরানে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ২৪ জন বেসামরিক নাগরিক। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, বুশেহরের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা হলে তেজস্ক্রিয় বিপর্যয়ের ঝুঁকি রয়েছে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ইরান পারমাণবিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরে দাঁড়ায়। নতুন আলোচনার সম্ভাবনা থাকলেও, ১২ জুন ইসরায়েলের হামলার পর থেকে সেটিও স্থবির হয়ে পড়ে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংসে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেও বড় ধরনের পারমাণবিক বিপর্যয় এড়াতে চায়।
এদিকে ইরানজুড়ে সরকারপন্থী বিজয়ের মিছিল ও প্রতিরোধের র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।