পশ্চিম তেহরানে আবারও বড় বিস্ফোরণের শব্দ

আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী
আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী  © সংগৃহীত

ইরানের রাজধানী তেহরানের পশ্চিমাংশে আবারও বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সোমবার (১৬ জুন) স্থানীয় সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও এবং ছবিতে দেশটির আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। খথবর বিবিসি বাংলার

ইরানের ইসলামিক রেভুল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা ‘ফার্স নিউজ এজেন্সি’ জানিয়েছে যে, তেহরানের পশ্চিমাংশে একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তেহরানে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে বলেও ইরানের সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হচ্ছে।

গত ১৩ জুন রাত থেকে ইসরায়েল ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরান আক্রমণ শুরু করে। আজ সোমবার ভোর ৪টায় প্রায় ৪০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ঝাঁক ইসরায়েলে আঘাত হানে। এ নিয়ে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মোট সংখ্যা প্রায় ৩৫০-এ দাঁড়িয়েছে। এসব হামলায় তেল আবিব, পেটাচ টিকভা এবং বেনি ব্রাকে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে।

অন্যদিকে, ইসরায়েল শুরু থেকেই ইরানের সামরিক, পারমাণবিক এবং জ্বালানি অবকাঠামোগুলোকে কেন্দ্র করে হামলা চালায়। এতে বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। 

এখন পর্যন্ত ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাগুলো গুশ ডান, তেল আবিব, মধ্য ইসরায়েল, হাইফা এবং বির শেবা এলাকায় কেন্দ্রীভূত ছিল। আইডিএফ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমানবাহিনী ইরানের কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকারী এবং অনেক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সফল হয়েছে, যার ফলে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের গতি কমে এসেছে। আগে যেখানে একবারে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হতো, এখন সেখানে একবারে ডজন খানেক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে।

আইডিএফ জানায়, তারা প্রতিনিয়ত তাদের কৌশল সমন্বয় করছে এবং ইরান কীভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করছে। একই সঙ্গে, ইরানও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পরাস্ত করার চেষ্টা করে তাদের কৌশলে পরিবর্তন আনছে।

ইরান এবং ইসরায়েল উভয়ই তাদের নিজস্ব সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনার কাছাকাছি এলাকা থেকে অন্য দেশের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্ক করেছে। গতকাল রবিবার তেহরানের গ্যাস স্টেশনগুলোর বাইরে গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ইসরায়েলি হামলার পর আতঙ্কিত বাসিন্দারা ইরানের রাজধানী শহর ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে জানা গেছে।

এদিকে সংঘাতের কারণে তেলের দাম আবারও বেড়েছে। রবিবারও তেলের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল, যা গত সপ্তাহের ৭ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে যোগ হয়েছে। কারণ এই সংঘাত বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহকে হুমকির মুখে ফেলেছে।


সর্বশেষ সংবাদ