‘আমার মেয়ে কোথায় গেলো?’ ভেঙে পড়েছে বিমান দুর্ঘটনায় নিখোঁজ বিমানবালা নগান্থোইয়ের পরিবার
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৯:২০ PM , আপডেট: ১৩ জুন ২০২৫, ০৮:৩২ AM
মেঝেতে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন, হাত কাঁপছে, একটার পর একটা পারিবারিক ছবির অ্যালবাম উল্টে যাচ্ছেন মরিয়া হয়ে। ছবির অ্যালবামে খুঁজছেন তার মুখ, তার হাসি-নগান্থোই শর্মা কংব্রাইলাতপাম। এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারে বিমানবালা ছিলেন তিনি, যেটি আজ আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের মাত্র দু’মিনিট পরই বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর নগান্থোইয়ের পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। লাল টাইলসের ঘরের মেঝেতে বসে আছেন তারা, কাঁদছেন, একে অপরকে জড়িয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। এক ভিডিওতে শোনা যায়, এক নারী আহাজারি করছেন, ‘আমার মেয়ে, আমার মেয়ে, আমি নিজের হাতে বড় করেছি, তুমি কোথায় গেলে? আমি তোমায় দেখতে চাই’
আরেকজন বলছেন, ‘আমার ফোনটা দাও, ওর ছবি দেখতে চাই, আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি।’
দুর্ঘটনাটি ঘটে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে, উড্ডয়নের দুই মিনিটের মাথায়। বিমানটি আহমেদাবাদের মেঘানীনগর এলাকার একটি মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের ওপর ভেঙে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়, চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
আরও পড়ুন: সবাই নিহত হননি, একজন জীবিত আছেন—জানালেন পুলিশ কমিশনার
বিমানটি যুক্তরাজ্যের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এতে ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য ছিলেন। এদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ১ জন কানাডীয় এবং ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া।
উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, বিমানের ব্ল্যাক বক্স পাওয়া গেছে। সেটি বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার সাধারণত অত্যাধুনিক ও নিরাপদ বিমান হিসেবে পরিচিত। এই মডেলে আগে কোনও প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার রেকর্ড ছিল না।
এই ঘটনায় শোক জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক্স-এ তিনি লেখেন, ‘আহমেদাবাদের ট্র্যাজেডি আমাদের স্তম্ভিত করেছে। এ এক বেদনার সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া ঘটনা।’