জামায়াত নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় কী বলছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ০৪:২২ PM , আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:০৪ AM
রাজনৈতিক দল হিসেবে এক যুগ পর বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পুনর্বহাল করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ের ফলে দলটি আবারও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমোদিত রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনে দলটি অংশগ্রহণের সুযোগ ফিরে পাবে।
রোববার (১ জুন) দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ ২০১৩ সালে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন। রায়ে নির্বাচন কমিশনকে আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।
বিষয়টি নিয়ে দেশি-বিদেশি নানা সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে খবর প্রচারিত হয়েছে। এ বিষয়ে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমও খবর প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ২০১৩ সালে হাইকোর্টের আদেশে বাতিল করা হয়। তবে সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দলটি ওই আদেশের পুনর্বিবেচনার আবেদন করে এবং অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই রায় এমন সময় এল, যখন গত ২৭ মে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগে ২০১৪ সালে তাকে দণ্ডিত করা হয়েছিল।
ডনের ভাষ্যমতে, জামায়াতে ইসলামীর পাকিস্তানপন্থি অবস্থান এখনো বাংলাদেশে অনেকের মধ্যে তীব্র বিতর্ক ও ক্ষোভের জন্ম দেয়। দলটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবেও পরিচিত ছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার সরকারের সময় জামায়াত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এবং দলটির বহু শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার ও বিচার কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিশনের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম এএফপিকে বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আইন অনুসারে দলটির নিবন্ধনের বিষয়টি মোকাবিলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও উল্লেখ করা হয়, জামায়াত-ই-ইসলামী দলের আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ১৭ কোটি মানুষের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে একটি ‘গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুদলীয় ব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠা করবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিচার শুরু নিয়েও প্রতিবেদনে বলছে ডন। তারা বলছে, পুলিশ কর্তৃক বিক্ষোভকারীদের হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পলাতক শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে বলেছে প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন।
আরও বলছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা উসকানি, সহায়তা, ষড়যন্ত্র এবং প্রতিরোধে ব্যর্থতাসহ কমপক্ষে ৫টি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।