যে প্রস্তাবে রাজি হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক করবে সৌদি

  © সংগৃহীত

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া বিকল্প কোনো প্রস্তাবে রাজি নয় রিয়াদ।ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়ে সৌদির কোনও দাবি নেই- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের পর বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এই ঘোষণা দিলো রিয়াদ। 

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। গাজার দখল নেবে যুক্তরাষ্ট্র, ঘোষণা দিলেন ট্রাম্পগাজার দখল নেবে যুক্তরাষ্ট্র, ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যৌথ সংবাদ সম্মেলনের পর সৌদি আরব তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে। ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা দখল করতে চায় এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে সরিয়ে নিয়ে সেখানে পুনর্গঠন চালাবে। পরে তা বিশ্ববাসীর জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

পাল্টা জবাবে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে রিয়াদের অবস্থান ‘অটল ও অবিচল’।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান গত সেপ্টেম্বরে দেওয়া এক ভাষণে বলেছিলেন, এই শর্ত পূরণ না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে না রিয়াদ।

সৌদির প্রকাশিত বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের পরিকল্পনা প্রত্যাখান করে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন বিষয়ে তাদের অবস্থান অপরিবর্তনীয়। এ নিয়ে আলোচনার কিছু নেই।

যদিও ট্রাম্পের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাবে ইসরায়েল এবং তাদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে।


সর্বশেষ সংবাদ