মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ল ৬ মাস

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে  © সংগৃহীত

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। ক্ষমতা দখলের চার বছর পূর্তিকে সামনে রেখে জান্তা সরকার এ ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সামরিক জান্তা ও সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বাধীন সামরিক কাউন্সিল সর্বসম্মতিক্রমে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০৮ সালের সংবিধানের ৪২৫ ধারা অনুযায়ী কমান্ডার ইন চিফসহ পরিষদের সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে জরুরি অবস্থা আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠানের জন্য আরও অনেক কাজ এখনো বাকি। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রয়োজন।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে এ অস্থিরতা গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। নিজ নিজ এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এসব লড়াইয়ে অনেক ক্ষেত্রেই বিদ্রোহীদের কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে সরকারি বাহিনী। সম্প্রতি এমনকি সেনাবাহিনীতে ফাটল ধরার খবরও সামনে আসছে।

আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষে ৪১ মরদেহ উদ্ধার

বিবিসি জানিয়েছে, এককালে দুর্ধর্ষ হিসেবে পরিচিত মিয়ানমার সেনাবাহিনীতে ফাটল ধরানোর নেপথ্যে রয়েছে বিদ্রোহী যোদ্ধার বেশে থাকা গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহীদের হয়ে কর্মরত গুপ্তচররা। বর্তমানে দেশটির এক-চতুর্থাংশের কম ভূখণ্ডে সেনাবাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। মিয়ানমার-বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূতের মতে, জান্তা বাহিনী এখনো প্রধান শহরগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে এবং সেগুলো ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ অবস্থায় রয়েছে।

মিন অং হ্লাইং কাউন্সিলকে বলেন, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার ও নির্বাচন আয়োজনের আগে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রয়োজন।’

বিশ্লেষকেরা বলছেন, জান্তা সরকার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর ফলে খুব শিগগিরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্ব পেরিয়ে ভোট অনুষ্ঠান করতে এ বছরের শেষ নাগাদ লেগে যেতে পারে।


সর্বশেষ সংবাদ