অ্যাপসের মাধ্যমে নারীকণ্ঠে ফোন, একে একে সাত ছাত্রীকে ধর্ষণ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০৯:০৭ AM , আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৩২ PM
অ্যাপসের মাধ্যমে নারীর কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে ছাত্রীদের বোকা বানাতো। এরপর তাদেরকে ধর্ষণ করতো যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে, ভারতের মধ্যপ্রদেশে। এভাবে অন্তত সাতজন আদিবাসী ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ব্রজেশ খুশওয়া নামে এক ব্যক্তি বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করে গলার স্বর বদলে ফেলেছিল। নিজেকে কলেজের শিক্ষিকা বলে পরিচয় দিতো। এরপরই শুরু হয় অপরাধ। মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী ছাত্রীদের বোকা বানিয়ে ধর্ষণ করতো বলে অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষিকা বলে পরিচয় দিয়ে সে ছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়ার লোভ দেখাত। এরপর তাদের ডেকে নিয়ে আসত নির্জন জায়গায়। ছাত্রীদের জানাতো, নির্জন জায়গায় গেলে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে চাপিয়ে তাকে তার বাড়ি নিয়ে আসা হবে। কিন্তু সবই ছিল সাজানো। এভাবে বোকা বানিয়ে সে ছাত্রীদের ধর্ষণ করতো।
ছাত্রীরা জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি হেলমেট পরে থাকত। সে কারণে বোঝা যেত না। তবে সবসময় হাতে একটা গ্লাভস পরে থাকত। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, কারখানায় কাজ করতে গিয়ে তার হাত পুড়ে গিয়েছিল। সে কারণে সে গ্লাভস পরে থাকত। শনিবার খুশওয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার তিনি সঙ্গীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। খুশওয়ার বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন।
আরো পড়ুন: ব্যবসায়ীকে মারধর করে পৌনে দুই লাখ ছিনতাই, দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
আইজি মহেন্দ্র সিকারওয়ার জানিয়েছেন, একজন জানিয়েছিল, স্কলারশিপ দেওয়ার নাম করে তাকে ফোন করেছিল। এরপর নির্জন জায়গায় যাওয়ার কথা বলে। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এরপর ব্রজেশকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়। সে পুলিশকে জানায়, বিশেষ ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করে সে নারীদের কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে ছাত্রীদের বোকা বানাত।
পুলিশ সহজে তাকে চিহ্নিত করতে পারছিল না। পরে জানতে পারে, সে সবক্ষেত্রেই হাতে একটা গ্লাভস পরে। সে মতো পুলিশ তদন্ত শুরু করে। হেলমেট দিয়ে তার মাথা, মুখ ঢেকে রাখলেও হাতের গ্লাভসটা ঢাকতে পারেনি। সে সূত্র ধরেই পুলিশ তাকে ধরে ফেলে।