উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধারের পর অধ্যাপকের শাস্তি দাবি

ভারতের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
ভারতের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন  © হিন্দুস্তান টাইমস

ভারতের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শিক্ষার্থী ববিতা দত্তের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক সপ্তাহ ধরে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস। তার মৃত্যুর পর থেকে অভিযুক্ত অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের ধর্না কর্মসূচি শুরু করেছে সংগঠনটি।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ববিতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় এক সপ্তাহ আগে বৃহস্পতিবার। সে ঘটনায় বিভাগীয় প্রধান সিদ্ধার্থশঙ্কর লাহার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে এবিভিপি ও নিহতের পরিবার। তাদের পক্ষ থেকে মাটিগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করা হয়েছে। 

এবিভিপির অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন বিভাগীয় প্রধান। কিন্তু চলতি মাসে গবেষিককে তিনি জানান, বিয়ে করা সম্ভব নয়। তারপরই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে ববিতার। ববিতাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

আন্দোলন চলাকালে নিজত শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে অবস্থানে বসে অভিযুক্ত অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শঙ্কর লাহার অপসারণ, বিভাগীয় তদন্ত ও গ্রেফতারের দাবি করেন এবিভিপির কেন্দ্রীয় সদস্য শুভব্রত অধিকারী।  বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে শিবমন্দিরের মাস্টারপাড়ায় ভাড়া ঘর থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল শিক্ষার্থী ববিতা দত্তের। 

অভিযোগ উঠেছে, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জড়িত এবং টাকা নিয়ে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করছে না বলেও অভিযোগ করেন শুভব্রত। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে রাজ্যপালকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশনেও অভিযোগ করা হবে।

আরো পড়ুন: অক্সফোর্ডে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের ধরপাকড়

এদিকে অভিযুক্ত অধ্যাপকের কঠোর শাস্তির দাবি জানান নিহতের মা। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত তিনবার আমাদের বাড়ি গিয়েছিল। তার কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

এর আগে গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপি গণস্বাক্ষর গ্রহণ করে। পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। এবিভিপির অভিযোগ, ববিতাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধারের পর তার ঘর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। সেখানে অধ্যাপকের নাম রয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।

 

সর্বশেষ সংবাদ