পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়ে দেশসেরা সব্যসাচী, জানাল কীভাবে পড়াশোনা করেছে

সব্যসাচী লস্কর
সব্যসাচী লস্কর  © এবিপি আনন্দ

ভারতের সিবিএসই দশমে দেশের সেরা হয়েছে কলকাতার বিডি মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র সব্যসাচী লস্কর। বেস্ট অফ ফাইভে ১০০-তে ১০০ পেয়েছে সে। বই খুঁটিয়ে পড়ার অভ্যাস আত্মস্থ করেছিল সে। সঙ্গে সময়ের মধ্যে লেখা শেষ করা। পরীক্ষার আগে বাড়িতে বসেই পরীক্ষা দিয়েছে।

সব্য়সাচীর কথায়, ভাল ফল করতে গেলে সিবিএসইর পাঠক্রমে যে বইগুলো রয়েছে, সেগুলো খুঁটিয়ে পড়তে হবে। পরীক্ষার সময় মনোসংযোগ বাড়াতে হবে। টাইম ম্যানেজমেন্টও গুরুত্বপূর্ণ। লেখা সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। তবেই ভালো ফল করা সম্ভব। আমি আঁকতে খুব ভালবাসিG পড়ার জন্য প্রতিদিন আলাদা করে সময় ছিল না। তবে গড়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পড়তাম। 

সে জানায়, হোয়াটস্অ্যাপ ব্যবহার করেছে স্কুলের বিভিন্ন মেসেজ পাওয়ার জন্য। অন্য কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় নেই। পড়ার জন্য কখনও কখনও ইউটিউবের সাহায্য নিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও এবিপি আনন্দের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দশমে বা দ্বাদশে বোর্ড পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে ছাত্রছাত্রীরা। এত ভালো ফল করেও ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার নয়, সব্যসাচীর ইচ্ছে অ্যাকাডেমিকসে যাওয়া। আইআইটিতে পড়ার প্রস্তুতি নিলেও সে গবেষণা করতে চায়। সব্যসাচীর ভাষ্য, আপাতত লক্ষ্য জেইই অ্যাডভান্সে উত্তীর্ণ হয়ে আইআইটিতে ভর্তি হওয়া। তার ইচ্ছে অঙ্ক এবং পদার্থবিদ্যায় গবেষণা করা।

একশো শতাংশ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সব্যসাচী। সে জানায়, যে কোনও বিষয় সম্পর্কেই ধারণা তৈরি হওয়া প্রয়োজন সবার আগে। সংশ্লিষ্ট বিষয় ধারণা স্পষ্ট হলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার যায়। পাশাপাশি পড়ার সময় থেকেই টাইম ম্যানেডমেন্টে খেয়াল রাখতে হবে। পড়ার সঙ্গে হবি থাকলে তাতে পড়া ভাল হবে।

আরো পড়ুন: বাবা-মা চিকিৎসক, বোন পড়ছেন মেডিকেলে—বোর্ডসেরা অন্বেষাও হতে চান চিকিৎসক

পশ্চিমবঙ্গের সোনারপুরের বাসিন্দা সব্যসাচী। লেখাপড়ায় বরাবরাই মেধাবী। এ সাফল্যের পিছনে মা এবং পিসির ভূমিকা বেশি বলে মনে করেন তার বাবা বশির আহমেদ লস্কর। তিনি বলেন, সব্যসাচী যেটা পড়ে মন দিয়েই পড়ে। যে কোনও বিষয় আত্মস্থ করার চেষ্টা করে। পরীক্ষার পর ভেবেছিলাম ৯৯ শতাংশ পাবে। কিন্তু ১০০ শতাংশ পেয়েছে।

সব্যসাচী মা চামেলি সর্দার বলেন, সম্ভাবনা ছিল না একেবারেই তেমনটা নয়। তবে পরীক্ষার হলে কিছুটা এদিক ওদিক হওয়ার আশঙ্কা তো থাকেই। তবে ১০০ শতাংশ পাবে, এটা আশা করেননি। 


সর্বশেষ সংবাদ