অস্থায়ী উপাচার্য বৈঠক ডাকতে পারেন, রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে পশ্চিমবঙ্গে বিতর্ক
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১৯ PM , আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১৯ PM
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগের পর রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। এর আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়সহ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠক এবং ইসি বৈঠক ডাকতে চেয়েছিল। তাতে সম্মতি দেয়নি রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাজকর্ম চালানোর ক্ষেত্রে জট তৈরি হয়েছে।
এবার রাজভবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, উপাচার্যরাই ১৯৭৯ সালের আইন অনুযায়ী বৈঠক ডাকতে পারেন। ফলে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সংঘাত অন্যমাত্রা পেল। চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের আইন অনুযায়ী, রাজ্যপাল কোর্ট বা ইসির বৈঠকে পৌরহিত্য করতে পারেন। প্রয়োজনে তিনি উপাচার্যকে বৈঠক ডাকার অনুমতি দিতে পারেন। খবর: হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশ অমান্য করে রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে সিন্ডিকেট বৈঠক করেছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরে রাজভবন থেকে অন্তর্র্বতী উপাচার্যদের চিঠি পাঠানো হয়। এতে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন ১৯৭৯ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইনেরবিরোধী বলে মনে করা হচ্ছে।
উচ্চশিক্ষা দফতরের দাবি, ২০১৯ সালের বিধি অনুযায়ী সিন্ডিকেট বা কর্ম সমিতির বৈঠক অস্থায়ী উপাচার্যরা ডাকতে পারেন না। ২০১৭ সালের আইন অনুযায়ী এ বিধি তৈরি হয়। সে ক্ষেত্রে অস্থায়ী উপাচার্যরা উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশ সামান্য করলে সমস্যায় পড়বেন। তবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশ অমান্য করে সিন্ডিকেট বৈঠক করলেও সে পথে হাঁটতে চাইছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
আরো পড়ুন: ভারতের সংসদে ঢুকে হামলা, মূল হোতার আত্মসমর্পণ
এ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য কর্ম সমিতির বৈঠক ডাকতে উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে দুবার অনুমতি চেয়েছিল। তবে তারা অনুমতি দেয়নি। দফতর জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু স্থায়ী উপাচার্য নেই তাই এ বৈঠক ডাকার অনুমতি নেই। এ অবস্থায় জট কাটিয়ে যাতে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয় তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা) রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে খোলা চিঠি দিয়েছে।
চিঠিতে তারা লিখেছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে সমাবর্তন অনুষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য। দীর্ঘদিন ধরে চলছে। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের আবেগ এবং ভবিষ্যতের কথা ভেবে পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে।