গাজায় যুদ্ধবিরতি চায় না যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন  © সংগৃহীত

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে আরব দেশগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করছে যে যুদ্ধবিরতি হলে হামাস পুনরায় সংগঠিত হবে, এবং আবারো সাতই অক্টোবরের মতো হামলা চালাতে পারে সংগঠনটি। সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র এখন গাজায় কোন যুদ্ধবিরতি চায় না। খবর বিবিসি

শনিবার (৪ নভেম্বর) জর্ডানের রাজধানী আম্মানে কাতার, সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বৈঠক শেষে তাদের নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন ব্লিঙ্কেন। সেখানে জর্ডান ও মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেন, ইসরায়েল আত্মরক্ষার্থে গাজায় হামালা চালাচ্ছে, তা আমরা মনে করি না। তাদের এ কাজ কোনো অজুহাতেই ন্যায়সংগত হতে পারে না। তাদের এ পদক্ষেপ ইসরায়েলের জন্য নিরাপত্তা বয়ে আনবে না। এ অঞ্চলে শান্তি বয়ে আনবে না। এ জন্য ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে হবে।

তবে আরবদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যুদ্ধবিরতি হামাসকে সুবিধা দেবে। তারা পুনরায় সংগঠিত হবে এবং ইসরায়েলে আবারও হামলা চালাবে।

স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা না বললেও গাজায় ত্রাণসহায়তা দিতে এবং হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তি করতে দুপক্ষের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পক্ষে মার্কিন প্রশাসন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপও নাচক করে দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার।

গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাসের হামলার জবাবে গাজায় টানা বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। অব্যাহত বোমাবর্ষণের মধ্যেই এবার সেখানে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা।

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় সাড়ে ৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ নারী ‍ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও ২২ হাজার ফিলিস্তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ