মিয়ানমারের রাখাইনে মোখার আঘাতে নিহত অন্তত ৪০০

ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙ্গে গেছে ব্রিজ
ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙ্গে গেছে ব্রিজ  © সংগৃহীত

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে মিয়ানমারের রাখাইনে অন্তত ৪০০ জন নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় একটি সাহায্যকারী সংস্থা ও একজন রোহিঙ্গা অধিকারকর্মীর বরাতে মঙ্গলবার (১৬ মে) এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে একটি ছিল মোখা। রবিবার (১৪ মে) ঘূর্ণিঝড়েরর প্রভাবে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিত্তওয়ে এবং বাংলাদেশের কক্সবাজারের ভূমিধস হয়েছে। যেখানে ২০১৭ সাল থেকে প্রায় ১০ লাখ মুসলিম রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি যে পথে গিয়েছে সে পথে প্রায় ২ লাখ মানুষ বসবাস করতেন। যার মধ্যে রয়েছেন রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীয়। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী দমন-পীড়ন শুরু করলে অনেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। আবার অনেকে রাখাইনেই থেকে যান। যারা রাখাইনে ছিলেন তাদেরও বেশিরভাগ এখন আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করেন।

সোমবার রাতে, মিয়ানমার সরকার বিধ্বস্ত রাখাইনকে "বিপর্যয় এলাকা" ঘোষণা করেছে। ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার (ঘণ্টায় ১৫৫ মাইল) বাতাসের কারণে গাছপালা ও টেলিযোগাযোগ টাওয়ার ভেঙে পড়েছে।

পার্টনার্স রিলিফ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নামের এ সাহায্যকারী সংস্থাটি রাখাইন রাজ্যে নিজেদের কার্যক্রম চালায়। তারা জানিয়েছে, রাজধানী সিট্যুয়ের কাছে যেসব রোহিঙ্গা বসবাস করেন সেসব রোহিঙ্গা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ে তাদের আশ্রয় ক্যাম্পগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরই ‘কয়েকশ মানুষের মৃত্যুর খবর’ পাওয়া গেছে।

রোহিঙ্গা কর্মী এবং জাতীয় ঐক্য সরকারের মানবাধিকার মন্ত্রীর উপদেষ্টা অং কিয়াও মো, টুইটারে সমতল ভবনগুলির ভিডিও শেয়ার করে বলেছেন শুধুমাত্র সিটওয়েতে মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছিল। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাননি তিনি।

প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে গত রোববার (১৪ মে) বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আঘাত হানে মোখা।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসের কারণে রাখাইনের অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাকারী সংস্থা কর্ডিনেশন অব হিউমেনিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ইউএনওসিএইচএ) জানিয়েছে, রাখাইনের রাজধানী সিট্যুয়া এবং এর আশপাশের অঞ্চলগুলো ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সোমবার এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে ইউএসওসিএইচএ বলেছে, ‘প্রাথমিক তথ্য দেখাচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিশাল। এছাড়া গৃহযুদ্ধের কারণে যেসব মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন তাদের আরও বেশি সাহায্যের প্রয়োজন হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence