শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ফোন নিষিদ্ধে সুফল পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এই স্কুলটি

  © সংগৃহীত

করোনা সংকট কাটিয়ে উঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের সব স্কুল খুলে দেওয়া হয়। তবে ক্লাসে এসে শিক্ষার্থীদের ছিল না মনোযোগ। ভুলেই গিয়েছিল সামসামনি কথা বলা। বাসায় মোবাইলফোনে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে আসার পর এক ধরণের জটিলতায় পড়ছিল তারা। ওয়াশরুমেও ফোন নিয়ে অনেক সময় পার করে ফেলত।

এই সংকট কাটাতে দেশটির উত্তর-পশ্চিম ম্যাসাচুসেটসের বাক্সটন স্কুল উচ্চ বিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মোবাইল ফোনের ব্যবহার। শিক্ষক, শিক্ষার্থী কিংবা কর্মচারী; সবার জন্যই চালু হয় এক নিয়ম। এতেই মিলেছে সুফল। ওয়াশরুমে গিয়ে ফোন টিপতে টিপতে অতিরিক্ত সময় ব্যয়ের যে প্রবণতা ছিল সেটাও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিদ্যালয়টির প্রধান পিটার বেকের বরাত দিয়ে এ ঘটনা প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট। 

আরও পড়ুন: ঢাবিতে রুবিনা ‘হত্যার’ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

পিটার বেক বলেন, বাসায় স্মার্টফোনে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে আসার পর শিক্ষার্থীরা সামনাসামনি কথা বলাটাই পুরো ভুলে গিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে স্কুলে সবার জন্য স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ। 

জানানো হয়, ক্যাম্পাসের পুরো ১১৪ একরের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী বা কর্মচারীদের কেউই আইফোন বা অ্যান্ড্রোয়েড ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। গত সেপ্টেম্বরে শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার সময় থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হলে এর সুফল মিলতে থাকে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

স্কুলপ্রধান পিটার বলেন, শিক্ষার্থীরা সমৃদ্ধ হচ্ছে। তারা পরিবর্তনের সঙ্গে খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে। পরিবর্তন দরকার ছিল, তবে এটা সম্ভব হবে ভাবিনি। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে যে ফোন তারা ব্যবহার করছে, এটা ছাড়া তাদের কীভাবে চলবে তা নিয়ে ভয় পেয়ে গিয়েছিল শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: ১৭ বছর বয়সে এমবিবিএস পাস করে ডা. সাবরিনা

তিনি জানান, নির্দেশনা কার্যকর হওয়ার পর যেসব শিক্ষার্থীর বাড়ি স্কুলের পাশে তাদের বাড়িতে ফোন রেখে আসতে হয়। আর দূরের শিক্ষার্থীদের ফোন জমা রাখতে হয় স্কুলে। সেমিস্টার ফাইনালের আগে পর্যন্ত এমন অবস্থা চলে।

ফোন নিয়ে সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে স্কুলের ওয়েবসাইটে বলা হয়, এখন সাধারণ ফোন ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। শুধু কথা বলা ও মেসেজ পাঠানো যায় এমন ফোন ব্যবহার করতে পারছে তারা।

একজন শিক্ষক জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ওয়াশরুমে যাওয়ার প্রবণতাও কমেছে। তারা অনেক সময় দরকার না হলেও মেসেজ ও টিকটক চেক করার জন্য বিশ্রামাগার ব্যবহার করত। ওয়াশরুমে গিয়ে বেশি সময় ব্যয় করত এই ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে। এটা কমেছে।


সর্বশেষ সংবাদ