এলেন, দেখলেন, জয় করলেন জিনাত; হারলেও খুশি আফরা

জিনাত ফেরদৌস ও আফরা খন্দকার
জিনাত ফেরদৌস ও আফরা খন্দকার  © সংগৃহীত

পল্টনস্থ মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে আজ যেন ভিন্ন এক আবহ! গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়, গ্যালারিজুড়ে দর্শক-বক্সারদের পরিবার-পরিজনের উপস্থিতি; সবমিলিয়ে জমজমাট এক উৎসব। এর অন্যতম কারণ আমেরিকান প্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌস ও দেশসেরা নারী বক্সার আফরা খন্দকারের ৫২ কেজি ওজন শ্রেণীতে স্বর্ণের জন্য লড়াই। 

সর্বশেষ এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের জার্সিতে অংশ নিয়েছিলেন জিনাত, তবে এবারই প্রথম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে খেলছেন। ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অভিষেকেই স্বর্ণপদক জিতেছেন তিনি। আফরাকে সহজেই ৫-০ ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি। সহজ করে বললে; এলেন, দেখলেন আর জয় করলেন ৩১ বছর বয়সী এই বক্সার।

এদিন শুরু থেকেই ডিফেন্সিভ মুডে ছিলেন আফরা। অন্যদিকে বারবারই আক্রমণ করছিলেন জিনাত। আফরা জিনাতকে সেভাবে অ্যাটাক করতে পারেননি। অবশ্য প্রতি রাউন্ডেই লড়েছেন আফরা। কিন্তু শেষমেশ তিন রাউন্ড শেষেই জয়ী হন জিনাত; যা অনুমেয় ছিল। যদিও জাজদের তথ্য মতে, ৫-০ ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন জিনাত। ৫ জন জাজের প্রত্যেকেই জিনাতের পক্ষে রায় দিয়েছেন।

আফরার আরেকটি পরিচয় জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের বড় বোন তিনি। বোনের খেলা দেখতে বাবা-মাসহ গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন আফঈদা। করতালিতে বড় বোনকে উৎসাহ দিয়েছেন। 

তবে মেয়ে হারলেও খুশি আফরার বাবা খন্দকার হাসান। তার ভাষ্য, ‘আপনাদের নিউজেই দেখেছি জিনাতের বয়স ৩১। সেখানে আফরার ২১। আফরা তার সঙ্গে লড়াই করেছে এবং তিন রাউন্ড খেলেছে এতেই আমি খুশি।’

জিনাতের সঙ্গে লড়াই নিয়ে আফরার মন্তব্য, ‘জিততে পারলে হয়তো বাবা আরো বেশি খুশি হতেন। তারা সব সময় সহযোগিতা করেন। বিশেষ করে বাবা যখন দুই মেয়েকে মাঠে নিতেন তখন অনেকে সমালোচনা করলেও পিছপা হননি।’


সর্বশেষ সংবাদ