মাজার ভাঙা থেকে লাশ পোড়ানো, কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ?

নওশাদ জামিল
নওশাদ জামিল  © টিডিসি সম্পাদিত

আমাদের দেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থা কোনো নতুন ঘটনা নয়, এটি বহু পুরোনো সমস্যা। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় এই তৎপরতা যেন হঠাৎ বেড়ে গেছে। রীতিমতো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে উগ্রপন্থীদের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড। মাঝেমধ্যে তাদের ভাবখানা দেখে মনে হয়, গোটা বাংলাদেশ কেবল তাদের জন্যই যেন। তাদের বিশ্বাস, তাদের চিন্তাভাবনা, তাদের ব্যাখ্যাই সবার জন্যই চূড়ান্ত হতে হবে। অন্য কেউ যদি ভিন্নভাবে চিন্তা করেন বা বিশ্বাস করেন, তাহলেই আক্রমণের শিকার হতে হবে। এর চেয়ে স্পষ্ট ফ্যাসিবাদ আর কী হতে পারে?

পবিত্র ইসলাম ধর্মের নামে যারা মাজার ভাঙেন, ভাস্কর্য ধ্বংস করেন কিংবা কবর থেকে মৃতদেহ তুলে আগুনে পোড়ান, তারা যদি রাষ্ট্রক্ষমতা হাতে পান, তাহলে কী ঘটবে তা অনুমান করা কঠিন নয়। তখন ধর্মের আড়ালে তারা আসলে এক নতুন ধরনের ফ্যাসিবাদই চাপিয়ে দেবেন। আমরা কী ধর্মীয় ফ্যাসিবাদকে মেনে নেব? আমরা যদি তা মেনে না নিই, তবে তাদের ঘৃণ্য অপরাধের অবশ্যই সমালোচনা করতে হবে, প্রতিবাদ জানাতে হবে।

রাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার লাশ আগুনে পোড়ানোর দৃশ্য

উগ্রপন্থীদের নিয়ে নানা ভয় ও শঙ্কার যথেষ্ট কারণ আছে আমাদের। কেননা, তাদের অতীত ইতিহাস দেশ ও মানুষের জন্য সুখকর নয়। এখন অনেকের ভেতরই শঙ্কা তৈরি হয়েছে, তারা যদি রাষ্ট্রক্ষমতা হাতে পান, তাহলে দেশে নানা ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে পারে। সরাসরি বললে ধর্মান্ধ ইসলামপন্থীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে হিন্দুদের মন্দির ও দেবমূর্তি, বৌদ্ধদের প্যাগোডা, খ্রিস্টানদের চার্চ—কোনো কিছুই তাদের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। এ কথা অবশ্য প্রকাশ্যে বলবেন না তারা। গণমাধ্যমে কিংবা বক্তব্য বা বিবৃতিতে তারা বলবেন, বাংলাদেশে অন্য ধর্মাবলম্বীরা স্বাধীনভাবে উপাসনা করতে পারবেন, এতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু মুসলমান পরিচয়ে কেউ মাজারে গেলে বা মূর্তি কিংবা ভাস্কর্য নির্মাণ করলে তা ধ্বংস করতে হবে। কারণ তারা জানেন, প্রকাশ্যে অন্য ধর্মের উপাসনালয় ভাঙার হুমকি দিলে আন্তর্জাতিক মহলে বিপদে পড়তে হবে। কিন্তু ক্ষমতায় গেলেই তাদের নগ্ন রূপ প্রকাশ পাবে। এটা এক বছরে অনেকের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে তা বলাই যায়।

প্রকৃতপক্ষে ধর্মান্ধ ইসলামপন্থীদের যুক্তি কী? ইতিহাস থেকে টেনে আনা একটি মাত্র ঘটনা। তারা বলবেন নবীজি (সা.) মক্কা বিজয়ের পর কাবাঘরের দেবমূর্তি ভেঙেছিলেন, সেগুলো অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। দেড় হাজার বছর আগের ওই ঘটনাকেই দলিল বানিয়ে নিজেদের সহিংস কর্মকাণ্ডকে বৈধ প্রমাণ করবেন তারা।

ধর্মীয় উগ্রপন্থাকে যদি কঠোরভাবে রুখে না দেওয়া যায়, তবে এ দেশের ভেতরে ধর্মের মোড়কে এক নতুন ফ্যাসিবাদ গড়ে উঠবে। যেখানে মানুষের স্বাধীনতা, বৈচিত্র্যতা, মানবিকতা, গণতন্ত্র—সবকিছুই পদদলিত হবে। বিপুল রক্ত ও ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, এখন ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের পতন আগেভাগেই নিশ্চিত করতে হবে। নচেৎ গণতন্ত্র যেমন অধরা থাকবে, তেমন হুমকিতে পড়বে গোটা বাংলাদেশ।

এ কথা মনে রাখা জরুরি হবে, ধর্মীয় উগ্রতা কেবল ইসলামপন্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ—সব ধর্মের ভেতরেই এ প্রবণতা আছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রায়ই নির্যাতিত হন সংখ্যালঘু মুসলিমরা। সেখানে হিন্দু উগ্রপন্থীরা মসজিদ ভেঙেছেন, গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগে মুসলমান হত্যা করেছেন। অন্যান্য ধর্মেও সহিংসতার উদাহরণ ভুরি ভুরি।

ইউরোপ-আমেরিকায় আজ ধর্মীয় উগ্রপন্থা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু অতীতে সেখানেও এ সমস্যা ভয়াবহ ছিল। আধুনিক শিক্ষা, বিজ্ঞান, মানবাধিকার ও মৌলিক মূল্যবোধের আলোয় তারা ধর্মীয় উগ্রতাকে বিদায় করেছে। বাংলাদেশ কি সেই পথ দেখবে, নাকি উল্টো পথে হাঁটবে—এই প্রশ্ন এখন সময়ের।

রাজবাড়ীতে এক পীরের কবরকে ঘিরে হামলা, ভাঙচুর, মৃতদেহ উত্তোলন ও পুড়িয়ে ফেলার মতো ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড আমাদের ভাবতে বাধ্য করেছে আবারও। একজন মানুষ হয়তো নিজেকে পীর দাবি করতে পারেন, মৃত্যুর পর তার কবর ভিন্নভাবে হোক সে ইচ্ছাও প্রকাশ করতে পারেন। এটি কারো বিশ্বাসের সঙ্গে না মিললে কী করবেন? যুক্তিসংগত প্রতিবাদ করা যেত, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে আদালতে যাওয়া যেত। দেশের প্রচলিত আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান হতে পারত। কিন্তু কবর ভাঙা, লাশ উত্তোলন করা, আগুনে পোড়ানো কিংবা তার বাড়িঘরে হামলা করার অধিকার কারও নেই।

পত্রিকার খবর পড়ে এবং রাজবাড়ীর একাধিক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দফায় দফায় নুরাল পাগলার দরবারে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা শরিয়ত পরিপন্থীভাবে দাফনের অভিযোগ তুলে নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেন। ভাঙচুর করেন তার দরবার, বাড়িঘর ও নানা স্থাপনা। স্থানীয় ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি, যাকে অনেকে বলছে তৌহিদি জনতা, তারা পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকেই হামলা ও লুটপাট শুরু করেন। এ হামলায় ১০–১২ জন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পুলিশের দুটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় আহত হয়ে মারা যান এক ব্যক্তি। এ ঘটনার জেরে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেল, সেটা কি ভেবেছি আমরা? শুধু জান-মালের ক্ষতিই তো হয়নি, দেশের ভাবমূর্তিও ধূলিসাৎ হয়েছে তা বলা যায়।

এ ঘটনায় দেশের আলেম কিংবা মুফতি সমাজ যেন নীরব। তবে কেউ কেউ প্রতিবাদ করেছেন। তাদেরই একজন মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় তাহেরীর একটি বক্তব্য পড়লাম, ভিডিও ক্লিপও দেখলাম। তিনি রাজবাড়ীতে একটি বর্বর ইতিহাস রচিত হয়েছে মন্তব্য করেছেন। রাজবাড়ীর ইস্যুতে তিনি বলেছেন, ‘নুরাল পাগলা নামে একজন মানুষ মারা গেছেন। তিনি জীবনে যদি অন্যায় করে থাকেন, শিরক করে থাকেন, তার জীবনে যদি ভণ্ডামি থাকত, মুসলমান হিসেবে দরকার ছিল প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা করা। আপনারা সেটা করেননি।’

রাজবাড়ী ইস্যুতে গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর বক্তব্য অনেকে প্রসংশা করেছেন

মুফতি তাহেরী আরো বলেছেন, ‘আপনারা নুরাল পাগলার কবর খুঁড়ে লাশ বের করেছেন। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তার মরদেহে আঘাত করেছেন। তারপর উল্লাস করে স্লোগান দিয়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন। এটা তো কোনোভাবে ঠিক হয়নি।’

বক্তব্যের এক অংশে মুফতি তাহেরী প্রশ্নের সুরে বলেছেন, ‘কবর থেকে মুসলমানের লাশ তুলে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে, এমন ইতিহাস কি বাংলাদেশে আছে? আমরা কি বাংলাদেশ দেখছি?’

আসলে একজন মানুষ মৃত্যুর পর কীভাবে সমাহিত হবেন, এটি তার পরিবার ও ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিষয়। কেউ মৃতদেহ কবর দেন, কেউ দাহ করেন, কেউ পানিতে ভাসান, কেউ পাহাড়ের চূড়ায় বা উঁচু স্থানে রাখেন ইত্যাদি। কে কোন পদ্ধতিতে সমাহিত হবেন, তা কারও অপছন্দ হলে তিনি সেটিকে উপেক্ষা করতে পারেন, যৌক্তিক সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু মৃতদেহ উত্তোলন করে আগুনে পোড়ানো—এমন অমানবিক কাজ কেবল ঘৃণ্য নয়, আধুনিক সমাজব্যবস্থার জন্য অশনিসংকেতও বটে।

রাজবাড়ীর ঘটনাটি যে আকস্মিক নয়, তা পরিষ্কার। কিছুদিন ধরে রাজবাড়ীতে উত্তেজনা ছিল। দরবারপক্ষ ও হামলাকারী সংগঠনের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিষয়টি জানত। অথচ এ সব জেনেও এমন ঘটনা ঘটল? তাহলে প্রশ্ন ওঠে রাষ্ট্র ও প্রশাসনের ভূমিকাই বা কী?

ঠিক বছরখানেক আগের কথা মনে পড়ে গেল। জাসদ নেতা মইনউদ্দীন খান বাদলের কবর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। তিনি পাঁচ বছর আগে মারা গিয়েছিলেন। গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার দোসর আখ্যা দিয়ে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়েছিল। এ ঘৃণ্য কাজ যারা করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কিংবা সরকার কি কোনো ব্যবস্থা নিয়েছিল? সঠিক উত্তর, তখনও প্রশাসন নিশ্চুপ ছিল।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের ঘটনাটিও সেই ধারাবাহিকতার অংশ। সরকারের নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তাই আজ উগ্রপন্থীদের আরও সাহসী করে তুলছে বলা যায়। মাজার-ভাস্কর্য-কবর ভাঙা, লাশ পোড়ানো—এসব ঘটনার পেছনে যদি দায়মুক্তি কাজ করে, তাহলে অচিরেই আমরা আরও ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হব।

বাধ্য হয়ে সরকার এখন বিবৃতি দিচ্ছে, নিন্দা জানাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, গত এক বছর প্রায় শতাধিক মাজার ভাঙার ঘটনায় সরকার কি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে? কাউকে কি শাস্তি দিয়েছে? নাকি শুধু সময়ের সঙ্গে ক্ষোভ প্রশমিত হওয়ার অপেক্ষায় থেকেছে?

ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর অসংখ্য মানুষ আশাবাদী হয়েছিলেন, এখন তাদের অনেকেই আশাহত হচ্ছেন কেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক ড. কামরুল হাসান মামুন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগতি আশা করেছিলেন। তিনি এখন মনে করছেন, দেশ গভীর বিপদে পড়ে গেছে যেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার একটি স্ট্যাটাস অসংখ্য মানুষ শেয়ার দিয়েছেন। কী লিখেছেন তিনি? সংক্ষিপ্ত স্ট্যাটাসে ড. মামুন লিখেছেন, ‌'পথ হারাচ্ছে বাংলাদেশ—এবং দ্রুতই। এখনই থামাতে হবে। আর দেরি করলে ফিরে আসার পথও হারাবে।' ড. মামুনের স্ট্যাটাস পড়ে ভীষণ খারাপ লাগল, বারবার পথ হারানো বাংলাদেশের গন্তব্য কী, কে জানে!

গণঅভ্যুত্থানের পর যারা আশাবাদী হয়েছিলেন, এখন তারা হতাশার সাগরে কেন পড়ে যাচ্ছেন, এ প্রশ্নের উত্তর আমাদের খুঁজতেই হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে যেমন খুঁজতে হবে হতাশার কারণ, তেমনই ছাত্র-জনতাকেও বুঝতে হবে। ইদানীং একটা কথা প্রায়ই মনে হয়, অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটবদ্ধ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে দমন করতে যতটা সচেষ্ট, দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ততটা আন্তরিক নয়। মব সন্ত্রাস যেন নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার চরম অবনতি হয়েছে। ঢাবির আরেকজন শিক্ষক ড. সামিনা লুৎফার কথা বলব। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তবে তার কথা শুনলে এখন মনে হয়, তিনি যেন হতাশা দেখছেন। কয়েকদিন আগে তিনি বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নতিতে বর্তমান সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। এর চেয়ে জঘন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমরা দেখিনি। প্রতিদিন আমাদের জান হাতে নিয়ে বের হতে হচ্ছে যেন।’

অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগে ফেরার পথ রুদ্ধ করতে চায়, এ দাবি আছে অন্যান্য কিছু রাজনৈতিক দলেও। আওয়ামী লীগের ফেরার পথ তখন বন্ধ হবে, যখন বর্তমান সরকার শেখ হাসিনার চেয়ে ভালো শাসনব্যবস্থা উপহার দেবে। বর্তমান সরকার যদি ব্যর্থ হয়, উৎকৃষ্ট শাসনব্যবস্থা যদি দিতে না পারে, তাহলে আওয়ামী লীগের ফেরার শঙ্কা তৈরি হবেই।

সবশেষে একটা কথা জোর দিয়ে বলি, ধর্মীয় উগ্রপন্থাকে যদি কঠোরভাবে রুখে না দেওয়া যায়, তবে এ দেশের ভেতরে ধর্মের মোড়কে এক নতুন ফ্যাসিবাদ গড়ে উঠবে। যেখানে মানুষের স্বাধীনতা, বৈচিত্র্যতা, মানবিকতা, গণতন্ত্র—সবকিছুই পদদলিত হবে। বিপুল রক্ত ও ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, এখন ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের পতন আগেভাগেই নিশ্চিত করতে হবে। নচেৎ গণতন্ত্র যেমন অধরা থাকবে, তেমন হুমকিতে পড়বে গোটা বাংলাদেশ।

নওশাদ জামিল: কবি, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক
(মতামত লেখকের নিজস্ব)


সর্বশেষ সংবাদ