জুলাই বিপ্লবের দিনগুলোয় শাবিপ্রবি ও সিলেটে যেভাবে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল
- অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম
- প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৮:২০ PM , আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০১ AM
“জুলাই বিপ্লব” শব্দটা শুনলে এতকাল ১৮৩০ সালে ফ্রান্সে সংগঠিত বিপ্লবের চিত্র চোখে ভেসে উঠত। এই বিপ্লবের সময়কাল ১৮৩০ সালের ২৬ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। ২০২৪ -এর জুলাইয়ে এসে বাংলাদেশে শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থান হলো। জুলাই মাসে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ গণআন্দোলনে রূপ নেওয়ার ফলে এটাকে ফ্রান্সের জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। তবে প্রকৃতপক্ষে এটা ছিল একটি গণঅভ্যুত্থান। এর আগেও এ দেশে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। যা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনরে মাধ্যমে শুরু হয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত পরিণতি পায়। তবে এটাকে শুধু পতন বললে ভুল হবে। এটা আসলে অতল গহ্বরে চলে যাওয়া। হঠাৎ করে চুপসে যাওয়া। ফ্যাসিবাদী, রক্তপিপাসু, স্বৈরশাসকের এক কাপড়ে দেশ ছাড়ার এমন ঘটনা ইতিহাসে বিরল।
এক নাগাড়ে বিগত ১৫ বছরেরও অধিক সময় ধরে যারা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার অপশাসন স্বচক্ষে দেখেছেন, তাদের কেউ এমনটা কখনো ভেবেছেন বলে মনে হয় না। স্বৈরাচারী ব্যবস্থার অনন্য যে মডেল শেখ হাসিনা তৈরি করেছিলেন, তা আধুনিক এই বিশ্বে নজিরবিহীন। এমন কোন অপকর্ম নেই, যেটা শেখ হাসিনা ও তার পরিবার কিংবা আওয়ামীলীগ করেনি। বিচার বহির্ভূত হত্যা, খুন ও গুম এগুলো একেবারে মামুলি হয়ে গিয়েছিল। স্বভাবতই কর্তৃত্ববাদী এই ব্যবস্থার প্রভাব শিক্ষাঙ্গনে বেশি পড়েছিল। এজন্য শিক্ষার্থী রুখে দাঁড়ায়। ছাত্রলীগের অপকর্মের সঙ্গে শিক্ষক রাজনীতিতে আওয়ামী দলীয়করণের ন্যক্কারজনক প্রভাব পড়েছিল শিক্ষাঙ্গনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে।
বিরোধী মতের শিক্ষকের নানা সময়ে এসবের প্রতিবাদ করলেও আওয়ামী ঘরনার শিক্ষকেরা শেখ হাসিনার ক্ষমতার গরমে তা তোয়াক্কা করত না। সহকর্মী হয়েও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করাই যেন নিয়মে পরিণত করেছিল, তখনকার ক্ষমতাবান শিক্ষকেরা। ব্যক্তিগতভাবে আমাকে যে বঞ্চনা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে, তার সামান্য চিত্র তুলে ধরলে বিষয়টা আরও পরিষ্কার হবে। নির্ধারিত সময়ের ১৫ মাস পরে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি হয়েছে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৫০ জন জুনিয়র শিক্ষকের পেছনে পড়তে হয়েছে। অনুষদের ডীন হতে হয়েছে ৪ বছর পর। আর ৬ বছর পরে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখ থেকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছি। তা-ও কপাল ভালো, এর মধ্যে শেখ হাসিনার পতন ও আওয়ামীলীগের বিদায় হয়েছে। অন্যথায় এটাও হয়তো দলীয় কোটায় ভাগাভাগি হতো। বঞ্চনার তালিকা দীর্ঘায়িত হতো।

আমার মতো বঞ্চিতদের তালিকায় হাজারও আছেন। তাদের সবার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। অনেক শিক্ষক লম্বা সময় এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। আবার কেউ কথা বলতে বলতে একসময় হাল ছেড়ে দিয়েছেন। বলা-বাহুল্য অনেকে রুটি-রুজির ভয়ে, কথা বলতে চাইতেন না। কিন্তু সবাই চুপ থাকে না, থাকার কথা-ও না। নীরবে অন্যায় মেনে না নেওয়া গুটিকয়েক সেই শিক্ষকের কাতারে এসে দাঁড়াতে পেরেছিলাম বলে নিজেকে আজ সৌভাগ্যবান মনে করি।
এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সাহসিকতার প্রশংসা না করলেই নয়। এ কথা বলতে একেবারে দ্বিধা নেই, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাদের বিদ্রোহই আমাদের শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে রাজপথে নেমে পড়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছিল। যুগে যুগে আন্দোলন আর সংগ্রামের ইতিহাস অবশ্য এমনই। তারুণ্যের শক্তিতেই নির্ভর করেই গড়ে ওঠে এসব মহারণ। দেশের আপামর জনসাধারণ তখন বুক চিতিয়ে লড়াই করে। জুলাই বিপ্লবের স্মৃতিচারণ করতে গেলে তাই সর্বপ্রথমে সব বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। বিনম্র শ্রদ্ধা লড়াইয়ে অংশ নেওয়া সব অকুতোভয় সৈনিকদের।

২০২৪ সালের জুলাইয়ের মাঝামাঝি ছাত্রদের আন্দোলন যখন বেগবান হচ্ছে, তখন সবকিছু এতোটা সহজ ছিল না। বিশেষ করে, সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে এই ধারণা খুব প্রবল ছিল যে আর যাই হোক শেখ হাসিনা সহজে ক্ষমতা থেকে সরবে না। হয়তো কোটা সংস্কার তিনি চাপে পড়ে করবেন। কিন্তু শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার স্বপ্ন দেখা তখনও সহজ কোন বিষয় ছিল না। এজন্য আন্দোলন সংগ্রামে সর্বসাধারণের মৌন-সমর্থন থাকলেও রাজপথে নামার ব্যাপারে অনেকে সংকোচ করছিলেন। আর সারাদেশে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনরত থাকার শিক্ষাঙ্গনগুলোতে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার ছিল সতর্ক নজরদারি।
কিন্তু যখন আবু সাঈদের মতো সাহসী শিক্ষার্থীরা বুক পেতে গুলি খাচ্ছে। বিনা উস্কানিতে সাধারণ মানুষকে সরকারি পেটোয়া বাহিনী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী গুণ্ডারা গুলি করে মারছে। একের পর এক লাশের উৎসব করছে। সরকার শুধু ক্ষমতা টেকানোর স্বপ্নে বিভোর। মানুষের মৌলিক মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। তখন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) মহৎপ্রাণ কিছু সহকর্মীকে নিয়ে জুলাইয়ের ঠিক মাঝামাঝিতে জুম মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেই; যাই ঘটুক, শিক্ষার্থীদের হয়ে রাজপথে নামব। অন্তত নিরস্ত্র শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর যে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড চলছে, তার প্রতিবাদ অব্যাহত রাখব।

১৬ জুলাই আবু সাঈদসহ সারাদেশে ৬ জন মারা যায়। জুলাইয়ের ১৭ তারিখ ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব), শাবিপ্রবি শাখার পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়। সন্ত্রাসী লাঠিয়াল বাহিনীর বর্বরোচিত ও নৃশংস হামলায় অসংখ্য শিক্ষার্থী হতাহত এবং ৬ জনের হত্যার তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা, গভীর উদ্বেগ ও শোক জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশের পর, সরকারের নানা মহল থেকে চাপ আসতে থাকে। ইউট্যাব শাবিপ্রবি শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যা অনেকাংশে আমাকে সামলাতে হয়েছে। কৌশল নির্ধারণ থেকে মাঠের আন্দোলন সবকিছুতে হতে হয়েছে বেশ সাবধানী। সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করতে গিয়ে হুমকি-ধামকি কম আসেনি। তবুও আমাদের অবস্থানে অনড় থাকি। রাজপথেই সবকিছুর সমাধান হবে বলে মাঠ না ছাড়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকি।
সার্বিক পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেই, কঠিন এই সময়ে যেকোনো মূল্যে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার বিকল্প নেই। একদিনের প্রস্তুতিতে ১৯ জুলাই শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস ও প্রধান ফটকে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিলে, ৫৬ জন সচেতন শিক্ষক তাতে অংশ নেন। এই কর্মসূচি আমাকে নতুন করে জাগিয়ে তোলে। আশার সঞ্চার করে। মনে মনে ভাবি ঘৃণ্য স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের মধু সবাই খেতে চায় না। এখনো অনেক শিক্ষক আছেন, যারা সরকারের পা না চেটে নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ। ভেবে দেখুন, আজ শেখ হাসিনার পতন না হলে- যে সব শিক্ষার্থী রাজপথ প্রকম্পিত করেছে, কিংবা ওই দিনের মতো যে সব শিক্ষক, আমরা আন্দোলনে নেমেছিলাম, আমাদের কী পরিণতি হতো!

এজন্য তুলনামূলক অপরিচিত মুখ সামনে এনে আন্দোলনে নামা হয়। আমরা যারা কিছুটা পরিচিত মুখ তারা সাথে থাকলেও কৌশলী ভূমিকা নেই। যাতে সরকার এটাকে কোনভাবে দলীয় কোনো কর্মসূচি হিসেবে আখ্যায়িত না করেন। এর মধ্যে আমার বিভাগের দুই সমন্বয়সহ ক্যাম্পাসের অন্যান্য সমন্বয়দের সঙ্গে আমাদের কথা হয়। তারাও সাহস সঞ্চার করতে থাকে। ক্রমান্বয়ে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে সিলেট শহরের সুধী সমাজ ও আওয়ামী বিরোধী সমমনা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আন্দোলন বেগবান করার বিষয়ে আলোচনা হতে থাকে। এর মধ্যে দেশব্যাপী ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হলে নতুন কৌশলে আগাতে হয়। প্রতিদিনেই কোনো না কোনো কর্মসূচি চলতে থাকে।
ইতোমধ্যে দেশব্যাপী আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়া শুরু করলে ক্যাম্পাসের অনেক শিক্ষার্থী প্রতিদিনই আহত হয়। রুদ্র সেন নামে আমাদের এক শিক্ষার্থীর করুণ মৃত্যুও হয়। শিক্ষক হিসেবে আমরা বিবেকের কাছে আরও দায়বদ্ধ হয়ে পড়ি। আহত সব শিক্ষার্থীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা নিয়ে দেখা দেয় সংকট। কারণ, অনেক হাসপাতাল তখন সরকারি চাপ উপেক্ষা করে চিকিৎসা দিতে সক্ষম হচ্ছিল না। হাসপাতাল থেকে আহত শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার শঙ্কাও ছিল। সবমিলিয়ে জুলাইয়ের শেষটা ছিল টালমাটাল সময়।
কিন্তু ওই পরিস্থিতিতে আর কিছু করা সম্ভব না হলেও আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত আমাদের করতেই হবে। কয়েক দফা আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে এই উপলব্ধি আরও বেড়ে যায়। অনেক চেষ্টার পরে বেসরকারি নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির ব্যবস্থা করতে সক্ষম হই। প্রত্যেক ব্যাচের প্রতিনিধিকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। এসব তথ্য তখন খুব দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। কারণ, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার জনগণকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখতে সম্ভব সব উপায় অবলম্বন করেছিল।

কিন্তু এই পরিস্থিতির ফলে আন্দোলন আরও গতি পায়। আমরা শিক্ষকেরাও ততদিনে ক্যাম্পাসের পাশাপাশি সিলেট শহরকেন্দ্রিক আন্দোলনে যোগ দিতে থাকি। আন্দোলনের ভাষাও ততদিনে বদলে গেছে। বক্তব্য-বিবৃতি আর ব্যানার-ফেস্টুনের শব্দের গাঁথুনি হতে থাকে বিদ্রোহের সুরে। সিলেট শহীদ মিনারে শাবিপ্রবির নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাজের সাদা ব্যানারে লাল কালিতে লেখা শব্দগুলো এখনো আউড়িয়ে ফিরি। সময়ের সাহসী সেই উচ্চারণ আজ স্মৃতির মানসপটে প্রায় উঁকি দেয়। ওই ব্যানারে লেখা হয়েছিল- “আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি চাই, গণহত্যার বিচার চাই। গোলা বারুদের অবসান চাই, সোনার বাংলায় শান্তি চাই।”
আন্দোলন যখন একেবারে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে আগাচ্ছিল, তখন নানা আশা আমাদের মনে দানা বাঁধতে শুরু করে। বিশেষ করে, ৪ আগস্ট ক্যাম্পাসকে কর্মসূচি পালন করার পর আমরা কয়েকজন শিক্ষক মনস্থির করি সিলেট শহরের কর্মসূচিতে অংশ নিতে হবে। ততদিনে রক্তের ছোপছোপ দাগে সিলেটের রাজপথও রঞ্জিত। সিনিয়র কয়েকজন শিক্ষক কিছুটা সংশয়ে থাকলেও উনারাও শেষমেশ আমাদের সঙ্গে সিলেট শহরে কর্মসূচি পালনে যোগ দেন। ওইদিন পুলিশ কর্মসূচিতে বাঁধা দিলে আমরা সামনে এগোনের সিদ্ধান্তে অটল থাকি। মুখোমুখি অবস্থানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ততদিনে রাজপথের সংগ্রামে আমাদের বেশ অভিজ্ঞতা সঞ্চারের ফলে সবকিছু সামলে নেওয়ার সুযোগ হয়।

স্রষ্টার অশেষ কৃপায় এরপরের দিনই আওয়ামী দানবের দীর্ঘ দুঃশাসনের অবসান হয়। বিজয় মিছিলে মাধ্যমে সমাপ্ত হয় ইতিহাসের এক অধ্যায়। দেশের আপামর জনতা হাফ ছেঁড়ে বাঁচে। হাজারো মানুষের রক্তপাতের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র এক হায়েনার হাত থেকে মুক্তি পায়। নতুন দিনের স্বপ্নে বিভোর হয়, দেশের শান্তিকামী মানুষ। শিক্ষার্থী-জনতার এই আন্দোলন কারো একার ফসল নয়। দেশের মেহনতি মানুষের অবদানের ফলে এই অসম্ভব সম্ভব হয়েছে। আমাদের যার যেমন সুযোগ ছিল, নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য তা করেছি। এখন দল মত নির্বিশেষে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করতে হবে। আর মনে রাখতে হবে, লড়াই এখনো শেষ হয়নি। সংস্কারের নতুন লড়াই শুরু হয়েছে মাত্র।
লেখক: অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম
বিভাগীয় প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ
এবং
প্রাক্তন ডীন, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), সিলেট