ঈদ উদ্যাপন: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরব ত্যাগ
- নুসরাত সুলতানা
- প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫, ০৯:৪৬ PM , আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪৫ PM
ঈদুল আজহা ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল এক পবিত্র উৎসব। এই দিনে মুসলিমরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করেন। আত্মত্যাগ, নিবেদন, ও দায়িত্ববোধ—এই সবকিছু মিলেই ঈদুল আজহার সৌন্দর্য। আর এই মহৎ ত্যাগের তাৎপর্যের বাস্তবতা আমরা দেখতে পাই আমাদের সমাজে কিছু নিরলস মানুষের জীবনে—তাঁরা হলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ঈদের ছুটিতে যখন অধিকাংশ মানুষ পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে মিলেমিশে উৎসব উদ্যাপন করেন, তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকেন দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত। ঈদের নিরাপত্তা, কোরবানির পশুর হাট, যানজট নিয়ন্ত্রণ, ঈদের জামাতের নিরাপত্তা, কিংবা জরুরি দুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া দেওয়া—সব কিছুতেই তাঁদের উপস্থিতি থাকে অবিচল।
তাঁদের এই দায়িত্বপালন শুধু পেশাগত নয়, এটি এক ধরনের ত্যাগ। ঈদুল আজহার কোরবানির মতোই, এটি এমন এক ত্যাগ, যা অনুভব করা যায় হৃদয়ে। একজন পুলিশ অফিসার হয়তো সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রোদে-জলে দাঁড়িয়ে থাকেন, শুধু যেন আপনার আমার ঈদ আনন্দ বিঘ্নিত না হয়।
তাঁদের এই নীরব ত্যাগ ঈদের প্রকৃত বার্তার সঙ্গে গভীরভাবে মিল রেখে চলে। ঈদুল আজহা কেবল পশু কোরবানির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়—এটি আত্মত্যাগ, দায়িত্বশীলতা ও মানবতার পরীক্ষাও। এই পরীক্ষায় প্রতিবার উজ্জ্বলভাবে উত্তীর্ণ হন আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আমরা যারা নিরাপদে ঈদ উদ্যাপন করি, আমাদের উচিত এই মানুষগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, তাঁদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা দেখানো। কারণ ঈদের ত্যাগ কেবল পশু জবেহ নয়, ত্যাগ হল অন্যের মঙ্গলের জন্য নিজের আনন্দের একটি অংশ ছেড়ে দেওয়া। এই শিক্ষাই সবচেয়ে নিখুঁতভাবে রূপ নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের জীবনে, প্রতিবছরের মতো এবারও।
লেখক: শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়