পিছিয়ে পড়া ৪০ লাখ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে মূল ধারায় আনতে ইতিহাস গড়ল ছাত্রলীগ

  © টিডিসি ফটো

সম্প্রতি দেশের ঐতিয্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাদের কমিটিতে ৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক পদটি নিয়ে দেশের প্রগতিশীল ও প্রতিক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। যারা প্রগতিশীল তারা বরাবরের মতো ছাত্রলীগের এই উন্নত চিন্তাকে সাধুবাদ জানিয়েছে। অপরদিকে যারা প্রতিক্রিয়াশীল তারা চিরায়াত চিন্তায় বিরোধিতা করে সমালোচনা শুরু করেছে। 

বাংলাদেশে বাঙালি, চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, মুন্ডা, হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান, খ্রিস্টানসহ প্রায় ৪০টি জাতি ও বিভিন্ন ধর্মের মানুষের বসবাস। দেশের ক্রান্তিলগ্নে জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই দেশ মাতৃকাকে রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়েছে। একবিংশ শতাব্দিতে এসেও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বা হুজুরদের বাঁকা দৃষ্টিতে দেখেন অনেকে। এর মূল কারণ আমাদের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা। সরকার নির্ধারিত শিক্ষা ব্যবস্থায় আলিয়া মাদ্রাসাসমূহ পাঠদান করলেও কওমী মাদ্রাসা কিছুদিন আগেও ছিল ব্যতিক্রম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমী মাদ্রাসাকে মূল ধারায় আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। দেশের প্রাচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগও তাদের কমিটিতে মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক পদ সংযোজন করে ইতিহাস সৃষ্টি করল। 

দেশের বাম ধারার ছাত্র সংগঠনসমূহ সকল কর্মসূচিতে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারা একমূখী বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চান কিন্তু একমূখী বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার রূপরেখা তারা এখনও পর্যন্ত সরকারের কাছে প্রস্তাব করতে পারেনি। কয়েক মাস আগে প্রাচীন একটি বাম ছাত্র সংগঠন তাদের কমিটিতে ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির একজনকে জায়গা দিয়ে মিডিয়ার বাহবা কুড়িয়েছিল কিন্তু আমি বলব তারা হাজার হাজার ট্রান্সজেন্ডারদের রেখে একজন ট্রান্সজেন্ডারকে কমিটিতে জায়গা করে দিয়ে স্টান্ডবাজিই করেছে মাত্র। এভাবেই শিক্ষা ব্যবস্থা ও সকল ক্ষেত্রে বাম সংগঠনগুলো এখন স্টান্ডবাজি ছাড়া আর কিছুই করে না। দেশে বুড়োদের একটি ছাত্র সংগঠন আছে, এই বুড়ো ছাত্রনেতারা শিক্ষার্থীদের সংকট নিয়ে ভাবছে বলে কোনো ইতিহাস আমার জানা নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগ শত বাধার মুখেও প্রকৃত অর্থেই পিছিয়ে পড়া যে জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানো উচিৎ তাদের পাশে সময়মত দাঁড়িয়েছে সব সময়। জন্মলগ্ন থেকে  এটাই ছাত্রলীগের চরিত্র। ছাত্রলীগের ডাকে সাড়া দিয়ে ঐসব জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশ ও দশের জন্য কাজ করেছে। রক্ত, ঘাম, জীবন দিয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী
প্রসঙ্গক্রমে আজ একটি কথা বড় বলতে ইচ্ছে করছে। এদেশের সবার মুখে একটাই কথা। মাদ্রাসা ছাত্র মানেই রাজাকার, মাদ্রাসা ছাত্র মানেই জঙ্গী। কিন্তু আমাদের মাদ্রাসার ইতিহাস কিন্তু তা বলে না। সকলের সাতে দ্বিমত করে আমি বলতে চাই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মাদ্রাসা ছাত্ররা শুধু মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেই থেমে থাকেনি বরং মুক্তিবাহীনীর ক্যাম্পে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস যুগিয়ে ট্রেনিংও প্রদান করেছেন। এদের মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা বালাগাত উল্লাহ, মাওলানা আহমেদুর রহমান আজমী। বালাগাত উল্লাহ মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন কিন্তু কোন মাদ্রাসার তা এই মুহুর্তে মনে করতে পারছি না।

হাটাজারি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মাওলানা আহমেদুর রহমান আজমী ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য লড়াই করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জে গিয়ে যুবক ছেলেদের যোগাড় করে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দেশের পক্ষে যুদ্ধে পাঠাতেন। যুদ্ধে পাঠিয়েই তিনি থেমে যেতেন না, আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা, খাওয়ার ব্যবস্থা করে সাহস যুগিয়ে ক্যাম্পে ক্যাম্পে বক্তব্য দিতেন। অস্ত্র হাতে যুদ্ধে অংশ নিয়ে খতম করেছেন পাক হানাদার বাহীনি। বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশ স্বাধীন করে জাতির পিতা মুজিবের হাতে অস্ত্রও জমা দিয়েছেন তিনি। বালাগাত উল্লাহ, মাওলানা আহমেদুর রহমান আজমী ছাত্র জীবনের সোনালি সময়ে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলেই তাদের ইতিহাস আমরা জানতে পেরেছি। এরকম উদাহরণ হাজার হাজার দেওয়া যেত যদি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় দেশীয় ইতিহাস পাঠদানে আগে থেকে কোনো ব্যবস্থা থাকত।  কথায় আছে যার ইতিহাস সে ছাড়া কেউ লিখে না, লিখলেও সঠিক তথ্য দেয় না। এদেশের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঘটেছে এমনই ঘটনা। শেখ হাসিনা সরকার সর্বশেষ অর্থবছরে মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য বরাদ্দ দিয়ছেন ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা৷ অর্থ বরাদ্দ দিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকার ও ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে এবার মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অর্ধশত বছরের অন্যান্য লাঞ্চনার দিন ঘুচবে বলে আশা করছি।

মাদ্রাসার বর্তমান অবস্থা
ইতিহাস বলে পৃথিবীতে রাজনীতির বাইরে কিছুই ঘটে না। কে ধনী, কে গরীব, কে হুজুর, কে পাদ্রী আর কে পুরোহিত হবে সবই নির্ভর করে রাজনীতির উপর। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের এতদিনের প্রধান পেশা ছিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা, মসজিদে ইমামতি করা, বেশি হলে হাই স্কুল ও কলেজের ধর্মীয় শিক্ষক। এর বাইরে তেমন বেশি ক্ষেত্রে তারা ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ভাবে রাখতে পারেনি। শেখ হাসিনা সরকার কওমী মাদ্রাসার দাওরা হাদিস শ্রেণীকে মাস্টার্স সমমান করার পর তারা শুধু চাকুরিতে আবেদন করতে পারে এখন কিন্তু আধূনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের সাথে প্রতিযোগিতায় হেরে যায়। আলিয়া মাদ্রাসা থেকে পাশ করে যেসব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ মেডিকেল কলেজগুলোতে প্রথমস্থান অধিকার করেছে তাদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থীই গবেষণায় ভূমিকা রাখতে পেরেছে। কেননা তাদের মূল ভিত্তিই মজবুত নয়। যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করেছেন। এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বলে দিচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকেও মূল ধারার সাথে নিয়ে আসা হবে।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাও গবেষণা করবে বিজ্ঞান, সাহিত্য, চারুকলা, সংগীত, চিকিৎসা শাস্ত্র নিয়ে। মাদ্রাসায় বর্তমানে প্রায় ৪০ লক্ষেরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। এর মধ্যে আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৬ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৫২ জন। কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ১০ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬৩৬ জন। আলিয়া ও কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থী সব মিলিয়ে ৪০ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠী পিছিয়ে ছিল অর্ধশত বছর ধরে। জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে এই বিশাল জনগোষ্ঠী সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। মাদ্রাসার এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে এবার মূল ধারায় নিয়ে আসতে রাজনৈতিক ভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহযোগিতায় যোগ্যতা অর্জন করে দেশের কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা।

মাদ্রাসায় ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা
সরকারের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা মাদ্রাসায় বাস্তবায়নে প্রধান বাধা মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আধুনিক নাগরিকরা যেভাবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বাঁকা চোখে দেখে, একই ভাবে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিতদের বাঁকা চোখে দেখে। এই বাঁকা চোখের চাহনী থেকে দৃষ্টি সড়াতে চাই রাজনৈতিক সমাধান। রাজনৈতিক সমাধানে ছাত্ররাজনীতি চাই মাদ্রাসায়। বাঁকা চোখের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন শিক্ষার্থীদের হাতে কলম-খাতা তুলে দিয়েছেন তখনই আমরা ছাত্রলীগের কর্মীরা বুঝে নিয়েছি জ্ঞানের চেয়ে শক্তিশালী আর কিছু নেই।

আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ একবার তার বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘আমরা যখন ছাত্রলীগ করতাম, তখন কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হলে তাকে ডাব নিয়ে দেখতে যেতাম। টাকা বেশি না থাকলে কয়েকজন মিলে টাকা সংগ্রহ করে তার জন্য ফল কিনতাম। এভাবে তার মনের মধ্যে ঢুকতাম। ছাত্রলীগের জন্য কর্মী সংগ্রহ করতাম’। মহামান্য রাষ্ট্রপতির এই কথাটি আমার বারবার মনে পড়ে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে। এভাবে যদি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মনের মধ্যে ঢুকে গিয়ে কর্মী সংগ্রহ করে তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মাদ্রাসার পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা অনেক বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার মূল ধারা অপরিবর্তিত রেখে আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনে মূল ভূমিকা পালন করবে মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেখানে কোনটা মূল ধারার বিজ্ঞান ভিত্তিক আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা তা চিনিয়ে দিতে কাজ করবে। এজন্য চাই ছাত্র রাজনীতি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্ব সাদ্দাম হোসেন ও শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের উন্নত চিন্তা থেকেই মাদ্রাসায় ছাত্র রাজনীতির উদ্দেশ্য সফল করতেই ছাত্রলীগে মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক পদ সংযোজন করেছেন। মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদ্রাসার সংকট দূরীকরণে ছোট বেলা থেকে বার বার মাদ্রাসায় ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি। আমার মাদ্রাসা শিক্ষা জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এমন সুখবর পেয়ে আমি সত্যিই আশাবাদী বাংলাদেশের ৪০ লাখ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিয়ে।

ছাত্র রাজনীতির বাতিঘর যাদেরকে বলি তারা এদেশের সকল সংগ্রামে প্রথম সাড়িতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। একটা কথা মনে রাখা দরকার, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিতদের থেকে অনেক পিছিয়ে আছেন। মাদ্রাসার বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষার মূল ধারায় আনতে ও নেতৃত্ব তৈরী করতে মাদ্রাসাগুলোতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নিয়মিত সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা করতে হবে আমাদের। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে দেশের সকল ন্যায় সংগত সংগ্রামে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছাত্রনেতাদের মতো প্রথম সাড়িতে থেকে নেতৃত্ব দিবেন আগামি দিনে। আর এই নেতৃত্ব বাংলাদেশে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রথম অফিশিয়ালি ভূমিকা রাখল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কোনো স্টানবাজি নয় বরং শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বাংলাদেশকে একটি সুখী সম্মৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে পিছিয়ে পড়া বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে মূল ধারায় আনতে সকল কৃতিত্ব বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার ইতিহাসের পাতায় লিখে নিল। নিশ্চয়ই দেশের কোনো ইতিহাসবিদ এই ইতিহাস লিখতে কার্পণ্য করবেন না। আর করলে করুন তাতে আপত্তি নাই আমার মতো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের। এদেশের মাদ্রাসায় পড়ুয়া ৪০ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহযোগিতা ও নেতৃত্বে দেশের মূল ধারায় ভূমিকা রেখে নিজেদের ইতিহাস নিজেরাই লিখবে এখন থেকে। জয়তু বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জয়তু শেখ হাসিনা।

লেখক: সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সরকারি মাদ্রাসা ই আলিয়া, ঢাকা
ই-মেইল: zobaerkhan597@gmail.com


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence