প্রবাসী কর্মীদের জন্য এয়ারপোর্টে বিশেষ লাউঞ্জ রাখতে পারি না?
- আসিফ সালেহ
- প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৬ PM , আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৬ PM
গত মাসে প্রবাসীদের কাছ থেকে আবার রেকর্ড পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার (প্রায় ২২,০০০ কোটি টাকা) বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে। রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি রেমিট্যান্স আমাদের জন্য জিয়নকাঠি অনেকদিন থেকে। এই অর্থনৈতিক বিপদের সময়ে এই রেমিট্যান্সের দাম আরো বেশি।
প্রায় চল্লিশ বছর পরে ২২০০০ কোটি টাকা ব্যয় করে জাপানিদের সহায়তায় আমাদের নতুন একটি বিমানবন্দর টার্মিনাল তৈরি হচ্ছে। রপ্তানিকারকদের জন্য আমাদের বিমানবন্দরে সিআইপি, ভিআইপি ব্যবস্থা আছে। ভিভিআইপিদের জন্য ২৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আলাদা ভবন হচ্ছে।
কিন্তু এই রেমিট্যান্স কর্মীদের জন্য আমরা কি এই নতুন টার্মিনালে বিশেষ ব্যবস্থা, পৃথক লাউঞ্জ ও সুবিধা রাখতে পারি না? শুধু কথায় নয়, কাজে দেখিয়ে দিন প্রবাসী কর্মীরা কত বড় সম্পদ।
লেখক: নির্বাহী পরিচালক, ব্র্যাক
শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল
অনেকটা সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলেই তৈরি হচ্ছে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। রোহানি বাহরিনের নকশা বাস্তবায়ন করছে জাপানি দুই কোম্পানি মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ট্রেডিং করপোরেশন।
আরও পড়ুন: বিমান বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন সাকিব
দেশের প্রধান এ বিমানবন্দরে বর্তমানে দুটি টার্মিনাল রয়েছে। এ দুটি টার্মিনাল ১ লাখ বর্গমিটার জায়গার ওপর। তৃতীয় যে টার্মিনালটি হচ্ছে, সেটি বর্তমান দুটি টার্মিনালের দ্বিগুণের বেশি। ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার এলাকা। তৃতীয় টার্মিনালটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২১ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।
হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নতুন করে শুধু একটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে, তা নয়। এর সঙ্গে সমান্তরালভাবে আরও চারটি কাজ হচ্ছে। টার্মিনালের পাশাপাশি দুটি হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। এ দুটি ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণের কারণ, রানওয়েতে উড়োজাহাজ বেশি সময় থাকার কারণে ওপর থেকে আরেকটি উড়োজাহাজ নামতে পারে না।
এ ছাড়া পণ্য আমদানি ও রপ্তানির জন্য দুটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। আরও থাকবে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তিনতলা ভবন। সব মিলিয়ে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে চলছে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ।