১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলি জুনে হচ্ছে না
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২২, ০৪:১৩ PM , আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২২, ০৪:১৭ PM
আগামী জুন মাসে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজনের কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না। আনুষাঙ্গিক কাজের জন্য রুম ভাড়া নিতে না পারায় প্রিলি পরীক্ষা আয়োজন করতে পারছে না বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত একটি কার্যালয়ে এনটিআরসিএ’র জন্য বরাদ্দকৃত দুটি রুম ছিল। ওই রুম দুটি ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডকে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন করে রুম খোঁজার কাজ করছে এনটিআরসিএ। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়িও দেখা হয়েছে। তবে এখনো রুম ভাড়া নেয়নি এনটিআরসিএ।
ওই সূত্র আরও জানায়, পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটির কারণে চলতি মাসে রুম ভাড়া নেওয়া সম্ভব হবে না। মে মাসে রুম পেলেও সেখানে কাজ শুরু করতে জুন মাস লেগে যাবে। এই অবস্থায় চলতি অর্থ বছরের মধ্যে প্রিলি পরীক্ষা আয়োজনের কথা থাকলেও সেটি সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: ‘১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ সাদা কাগজের চেয়েও মূল্যহীন’
এ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, জুন মাসে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি আয়োজনের পরিকল্পনা করা হলেও অনেকগুলো কারণে সেটি সম্ভব হবে না। জুনে না নিতে পারলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন প্রিলি পরীক্ষা আয়োজন করা যায় সেটি চেষ্টা করা হচ্ছে।
কবে নাগাদ ১৭তম নিবন্ধনের প্রিলি পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এটি বলা মুশকিল। আমাদের এ বিষয়ে কিছু পরিকল্পনা আছে। তবে সেটি এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। আমরা দ্রুত ১৭তম নিবন্ধনের পরীক্ষা আয়োজন করব।
আরও পড়ুন: বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির ফল নিয়ে যা বললেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই বছরের ১৫ মে সকালে স্কুল পর্যায়ে এবং বিকেলে কলেজ পর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ দেওয়া হয়। তবে এর আগেই দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে থেমে যায় নিবন্ধন কার্যক্রম। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর গ্রন্থাগার ও গ্রন্থাগার প্রভাষকদের জন্য চলতি বছর সংশোধীত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। নতুন করে প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করলেও রুম সংকটের কারণে প্রিলি পরীক্ষা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।