লিখিত পেলে এমপিও সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেব: মাদ্রাসা ডিজি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২২, ০৩:৩৬ PM , আপডেট: ১০ মার্চ ২০২২, ০৩:৪৪ PM
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্তদের এমপিও নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছ থেকে লিখিত পেলে বিষয়টি সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুরে এনটিআরসিএ’র সাথে বৈঠক ও মাদ্রাসায় নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৫ ঊর্ধ্বো প্রার্থীদের এমপিওভুক্ত নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এসব কথা জানান মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে এম রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, নতুন এমপিও নীতিমালায় ৩৫ বছর কিংবা তার অধিক বয়সী প্রার্থীদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া নেই। নির্দেশনা থাকলে আমরা সেভাবেই ব্যবস্থা নিতাম। এনটিআরসিএ আমাদের উচ্চ আদালতের রায়ের কপি দেখিয়েছে। তবে আমরা এমপিও নীতিমালার বাহিরে গিয়ে কিছু করতে পারবো না।
আরও পড়ুন: এমপিও জটিলতা নিরসনে অধিদপ্তর-এনটিআরসিএ রুদ্ধদ্বার বৈঠক
নিয়োগ প্রাপ্তদের এমপিও জটিলতা নিরসনে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কে এম রুহুল আমিন আরও বলেন, আমরা সরকারের নির্দেশনার বাহিরে গিয়ে কিছু করতে পারবো না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে যে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে আমরা সেভাবেই কাজ করছি। তবে যেহেতু এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের একটি রায় আছে। তাই রায়ের কপিসহ এনটিআরসিএর পক্ষ থেকে লিখিত পেলে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হবে।
গত মঙ্গলবার এনটিআরসিএ’র সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন: তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্তদের সতর্ক করল এনটিআরসিএ
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৪ হাজার ৭৩ জন শিক্ষকের মধ্যে যাদের বয়স ৩৫ ঊর্ধ্বো তাদের এমপিও ফাইল গণহারে রিজেক্টের অভিযোগ ওঠে। প্রার্থীরা জানান, ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে ৪ নং পয়েন্টে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের (৩৯০০/২০১৯) মামলার রায় অনুযায়ী ২০১৮ সালের পূর্বে যারা শিক্ষক নিবন্ধন সনদ পেয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিল যোগ্য।
স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে এমপিওর জন্য আবেদন করেছেন তারা। তবে বয়স ৩৫ ঊর্ধ্বো হওয়ায় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় প্রোগ্রামার তাদের এমপিও ফাইল রিজেক্ট করে দিচ্ছেন। এই অবস্থার দ্রুত সমাধান চান তারা।