১৯তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সবশেষ অগ্রগতি জানাল এনটিআরসিএ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৭ PM , আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৮ PM
১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হলেও সেটি থমকে গেছে। বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নীতিগত সিদ্ধান্ত হওয়ায় এ নিবন্ধনের কার্যক্রম অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় চলতি বছর নতুন নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজ্ঞপ্তির অপেক্ষায় থাকা লাখ লাখ চাকরিপ্রার্থী।
১৯তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অগ্রগতি জানতে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস কথা বলেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একাধিক কর্মকর্তার সাথে। তারা জানিয়েছেন, বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ১৯তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বেও শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ১৯তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তবে ১৮তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীদের আন্দোলনের কারণে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত ১৯তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে না।’
চলতি বছর ১৯তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা নভেম্বরেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম। তবে পরিস্থিতি ভিন্ন হওয়ায় নভেম্বরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আবার শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। ই-রেজিস্ট্রেশন, অনলাইনে শূন্য পদের চাহিদা দেওয়া; সবকিছু মিলিয়ে ১৯তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে কিছুটা সময় লাগবে।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সব প্রস্তুতি শেষ করে রাখছি। আমাদের চেয়ারম্যান স্যার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তিনি দেশে ফেরার পর ১৯তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাব্য সময় জানানো যাবে।’
নতুন নিয়োগ পদ্ধতিতে যেসব পরিবর্তন আসছে
নতুন নিয়োগ পদ্ধতিতে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি তিন বিভাগের জন্যই ২০০ নম্বরের পরীক্ষার প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও স্কুল-কলেজে এবং কারিগরিতে ১০০ নম্বর সাবজেক্টিভ এবং ১০০ নম্বর জেনারেল এবং মাদ্রাসারা জন্য ১৪০ নম্বর সাবজেক্টিভ এবং ৬০ নম্বর জেনারেল করা প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এভাবে বিভাজন করলে বৈষম্য তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য তিন বিভাগের জন্য নম্বর প্যাটার্ন একই রকম রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় অনেকে অনেক ধরনের প্রস্তাব করেছেন। স্কুল-কলেজে এবং কারিগরির জন্য একরকম। আবার মাদ্রাসার জন্য আরেকরকম। তিন বিভাগের জন্য পৃথক পদ্ধতি করা হলে এক প্রকার বৈষম্য করা হবে। সেজন্য আমরা তিন বিভাগের জন্য একই রকম পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে ভাবছি। সামনে এনটিআরসিএর বোর্ড সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের সভায় এটি চূড়ান্ত করা হবে।’
জানা গেছে, এর আগে এনটিআরসিএর নিবন্ধন পরীক্ষায় কখনোই প্রার্থীদের ভাইভার নম্বর যুক্ত করা হয়নি। প্রথমবারের মতো ভাইভার নম্বর যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন বিধিমালায় ভাইভার নম্বর যুক্ত করা হবে। এ ব্যাপারে ইতিবাচক শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে মাউশির এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিসিএসসহ সব ধরনের চাকরির পরীক্ষায় ভাইভার নম্বর যুক্ত করা হয়। আমরাও এনটিআরসিএর নিয়োগ পরীক্ষায় ভাইভার নম্বর যুক্ত করার মতামত দিয়েছি। ভাইভার নম্বর যুক্ত না হলে প্রার্থীদের প্রকৃত মেধা যাচাই করা সম্ভব হবে না। আশা করছি আমাদের মতামত শিক্ষা মন্ত্রণালয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।