দীর্ঘদিনের ছুটিতে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৭ AM
এক মাসের বেশি ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে গেছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম। ছুটি শেষে আগামী ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এনটিআরসিএর একটি সূত্র জানিয়েছে, ৩৭ দিনের ছুটি নিয়েছেন মো. আমিনুল ইসলাম। এই সময়কালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতে এনটিআরসিএর একজন সদস্য চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান স্যার শেষ অফিস করেছেন। তিনি উপস্থিত না থাকলেও সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন। এই ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে ভুল চাহিদায় সুপারিশপ্রাপ্তদের প্রতিস্থাপন, বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিসহ অন্যান্য কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্যার আসার পর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে অন্যান্য নোটিশ জারি করা হবে।
ভুল চাহিদায় সুপারিশপ্রাপ্ত ৪০০ শিক্ষকের বিষয়ে ইতোমধ্যে সভা করা হয়েছে। তবে প্রতিনিয়ত প্রার্থীরা আবেদন নিয়ে জমা দেওয়ায় প্রকৃত সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। প্রাপ্ত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই শেষে ফাইল প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে। সংস্থাটির চেয়ারম্যান ছুটি শেষে দেশে ফেরার পর তাদের প্রতিস্থাপন করা হবে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ভুল চাহিদায় সুপারিশপ্রাপ্তদের প্রুতিস্থাপন করা হবে। চেয়ারম্যান স্যার ৩৭ দিনের ছুটিতে দেশের বাইরে গেছেন। তিনি আগামী ডিসেম্বর মাসে দেশে ফিরবেন। এরপর প্রতিস্থাপনের কার্যক্রম শেষ করা হবে। তবে চেয়ারম্যান স্যার দেশে ফেরার পূর্বেই যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে রাখা হবে। যেন তিনি দেশে ফেরার পরপরই প্রতিস্থাপন করা যায়।
এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএ জানায়, ৪০১টি শূন্যপদের জন্য ভুল তথ্য দিয়েছে ২৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও গভর্নিং বডির সদস্যরা। ভুল চাহিদা প্রদানের কারণে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এনটিআরসিএ পরিচালক (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ কর্তৃক ৬ষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশের বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পূর্বে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষকের শূন্যপদের চাহিদা/অধিযাচন (ই-রিকুজিশন) অনলাইনে সংগ্রহ করা হয়। ৩নং সূত্রে উল্লিখিত পরিপত্রের ৪.০ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপ্রেক্ষিতে ই-রিকুজিশনে উল্লিখিত শূন্যপদের প্রাপ্যতা সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী সঠিক আছে কিনা তা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক অধিকতর যাচাইয়ের লক্ষ্যে শূন্যপদের তালিকাসহ গত ৭ এপ্রিল চিঠি পাঠানো হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক শূন্যপদের চাহিদা যাচাইকৃত তথ্য ১নং সূত্রে উল্লিখিত পত্রে নির্ধারিত সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রেরণ না করায় গত ১৬ জুন ৬ষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং ২২ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত অনলাইনে নিবন্ধনধারী প্রার্থীদের নিকট থেকে আবেদন গ্রহণ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শেষে ফলাফল প্রক্রিয়াকরণের পূর্ব মূহুর্তে গত ১৩ জুলাই সূত্রোক্ত ২নং স্মারকে মাউশি অধিদপ্তর হতে কলেজ পর্যায়ের ২৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪০১টি শূন্যপদ বাতিলের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়। ইতোমধ্যে নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রার্থীদের আবেদনের সময়সীমা অতিবাহিত হয়ে যায় এবং অনেক প্রার্থী উল্লিখিত বাতিলকৃত শূন্যপদে তাদের পছন্দ প্রদান করেন। উপরন্ত উক্ত শূন্যপদ বাতিলের বিষয়টি মাউশি অধিদপ্তর কর্তৃক সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অবগত করানো হয়নি। ফলে এনটিআরসিএ কর্তৃক সার্বিক নিয়োগ সুপারিশ কার্যক্রমে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে জটিলতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এমন অবস্থায় ভবিষ্যতে এ ধরণের জটিলতা এড়ানোর জন্য শূন্যপদের সঠিকতা যাচাই সংক্রান্ত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রেরণ এবং অধিদপ্তর কর্তৃক প্রেরণকৃত ২৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪০১টি শূন্যপদে ভুল চাহিদা প্রদানের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও গভনিং বডির বিরুদ্ধে সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।