দ্রুত ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশের দাবি

ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক
ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক  © ফাইল ফটো

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষক সংকট দূর করতে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩২ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সনদ যাচাই এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণের মেয়াদ দফায় দফায় বাড়ানোয় চূড়ান্ত সুপারিশ প্রক্রিয়ায় ধীরগতি এসেছে। এই অবস্থায় দ্রুত ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশের দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা জানান, স্কুল-কলেজে শিক্ষক সংকট থাকায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম  ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকট থাকায় শিক্ষাব্যবস্থার ওপর বিরাট প্রভাব ফেলছে। এছাড়া চূড়ান্ত সুপারিশ না হওয়ায় মানসিক হতাশায় ভুগছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এর ফলে পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। 

জাল সনদধারী, কাম্য যোগ্যতা না থাকা, বয়স লুকিয়ে আবেদন করাসহ বেশ কিছু কারণে আমরা সনদ যাচাই করছি। এ ছাড়া অনেকেই ভি-রোল ফরম পূরণ করেননি। তাদের বঞ্চিত না করতে সময় বাড়ানো হয়েছে--এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান

জানা গেছে, গত ১২ মার্চ চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৩২ হাজার ৪৩৮ জনকে নির্বাচন করা হয়। এর প্রায় দেড় মাস পর গত ২৭ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত তাদের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য অনলাইনে ভি-রোল ফরম পূরণের নির্দেশ দেয় এনটিআরসিএ। এরপর তিন দফায় ফরম পূরণের সময় বাড়িয়ে ৩০ জুন করা হয়েছে। ফলে প্রার্থীদের চূড়ান্তভাবে সুপারিশ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।

চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, ভি-রোল ফরম পূরণের মেয়াদ বাড় বাড় বাড়ানোর ফলে চূড়ান্ত সুপারিশের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। ভি-রোল ফরম পূরণের মেয়াদ বৃদ্ধি না করে দ্রুত চূড়ান্ত সুপারিশের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরামের আহবায়ক মো. রাশেদ মোশাররফ জানান, ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পাঁচ বছরের অপেক্ষা এখনও শেষ হয়নি। আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে কে জানে। আমরা অত্যন্ত অসহায় অবস্থার মধ্যে রয়েছি। পরিবারের কাছে মুখ দেখাতে পারছি না। প্রার্থীদের মানবিক অবস্থা বিবেচনা করে দ্রুত সুপারিশের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বলেন, জাল সনদধারী, কাম্য যোগ্যতা না থাকা, বয়স লুকিয়ে আবেদন করাসহ বেশ কিছু কারণে আমরা সনদ যাচাই করছি। এ ছাড়া অনেকেই ভি-রোল ফরম পূরণ করেননি। তাদের বঞ্চিত না করতে সময় বাড়ানো হয়েছে।

প্রার্থীদের দ্রুত সুপারিশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ভি-রোল ফরম পূরণের সময়সীমা নির্ধারিত আছে। কতজন প্রার্থী ফরম পূরণ করেননি সেটি দেখে আবারও সময় বাড়ানো হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন। ঈদের ছুটি শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়ে অনুমোদন চাওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ