ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ চলাকালীন চূড়ান্ত সুপারিশ করতে চায় এনটিআরসিএ
- শিহাব উদ্দিন
- প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৩, ০৬:৩৩ PM , আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৩, ০৬:৩৩ PM
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ চলাকালীন নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেওয়া হতে পারে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৩ মার্চ) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এ তথ্য জানান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
জানা গেছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের জন্য ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। এই প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ২০ মার্চের পর। ফরম পূরণের জন্য এক মাস সময় দেওয়া হবে। ফরম পূরণ চলাকালীনই প্রার্থীদের নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেওয়া হতে পারে।
এনটিআরসিএ’র একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দিতে ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করেছে এনটিআরসিএ। ভেরিফিকেশন ফরম পূরণকালীন সময়েই প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দিতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি: যে কারণে অর্ধেকেরও বেশি পদ ফাঁকা
ওই সূত্র আরও জানায়, পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণকালীন আর ফরম জমা দেওয়ার পর চূড়ান্ত যোগদানপত্র দেওয়া একই কথা। সেজন্য এবার ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করার সময়ই প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হতে পারে। শিগগিরই এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনা করা হবে। মন্ত্রীর সম্মতি পাওয়া গেলে দ্রুতই কাজ শুরু করা হবে।
এ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএ’র সচিব বলেন, আমরা প্রার্থীদের দ্রুত চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দিতে চাই। এজন্য যা করার তাই করবে এনটিআরসিএ। আমরা মন্ত্রণালয়ের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি তারাও এ বিষয়ে পজিটিভ চিন্তা করবে।
আরও পড়ুন: সুপারিশপ্রাপ্তদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ শুরু ২০ মার্চের পর
তথ্যমতে, ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮ জন এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি স্কুল-কলেজে ৩৬ হাজার ৮৮২ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। এক লাখের বেশি চাকরি প্রার্থী শিক্ষক হওয়ার আবেদন করেন।
আবেদনকৃতদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল রোববার ৩২ হাজার ৪৩৮ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।