স্বপ্ন জয় করে ঢাবিতে মোত্তাকিনা-মাহমুদুল

মোত্তাকিনা আক্তার ও মাহমুদুল হাসান মুরাদ
মোত্তাকিনা আক্তার ও মাহমুদুল হাসান মুরাদ   © সংগৃহীত

স্বপ্ন জয় করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেন মোত্তাকিনা আক্তার ও মাহমুদুল হাসান মুরাদ। ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় টিকে যাওয়ার পরেও অর্থাভাবে ভর্তি নিয়ে বিপাকে পড়েন তারা। গত সপ্তাহে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়।

জানা যায় রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার এই ২ জন মেধাবী শিক্ষার্থী শৈশব থেকে আর্থিক কষ্টের মধ্যে থেকেও নিজেদের পড়াশোনায় সাফল্য অর্জন করেছেন। উপজেলার শেখেরহাট সিংগীমারি গ্রামে সৎ মায়ের সংসারে বেশ অভাবেই কেটেছে মোত্তাকিনা আক্তারের জীবন। তা সত্ত্বেও ২০১৯ সালে এসএসসি ও ২০২১ সালে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পান মোত্তাকিনা। উচ্চ মাধ্যমিকে তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও আর্থিক সমস্যার কারণে পড়তে পারেন নি। বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে পড়াশোনা করেই এ বছর ঢাবির 'ক' ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে প্রাণবিদ্যা বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি। একই উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কারাজপুর মাস্টারপাড়ায় এতিমখানায় বড় হয়েছেন আরেক অদম্য মেধাবী মাহমুদুল হাসান। মাদরাসা থেকে আলিম পাস করে, ঢাবির আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে তিনি ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তাদের খবরটি নজরে পড়ে দেশের শীর্ষ শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের । এরপর বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে লেখাপড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের খরচ বহনের আশ্বাস দেওয়া হয়। গতকাল (শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর) বসুন্ধরা  আবাসিক এলাকায় কালের কণ্ঠ অফিসে তাদের ভর্তি ও এক মাসের খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা করে তুলে দেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী।

সেখানে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, 'বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে মানুষের কল্যাণে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের কাজ করা হয়। এরই অংশ হিসেবে শুভসংঘের মাধ্যমে সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা, যারা অর্থের অভাবে পড়াশোনা করতে পারছে না তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। মোত্তাকিনা ও মাহমুদুলের পাশেও দাঁড়িয়েছি যেন তাদের স্বপ্ন পূরণে অর্থ কোনো বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। আশা করি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা স্বপ্ন পূরণ করে মানুষের সেবার কাজ করবে।' 


সর্বশেষ সংবাদ