‘এখনও বই পাইনি, কবে পাব তাও জানিনা’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২২, ০২:২৩ PM , আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২২, ০৩:৩৪ PM
গত মে মাস থেকে ভয়াবহ বন্যার কবলে সিলেট। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে প্রায় ১ হাজার ১০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দুই দফার বন্যায় ঘর-বাড়ির পাশাপাশি ভেসে গেছে শিক্ষার্থীদের বইখাতা। ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে বইপত্র সরবরাহ করার কথা থাকলেও এখনো এ বিষয়ে কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি।
সিলেটে বন্যার কারণে প্রাথমিকের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীদের বই-খাতা ভেসে গেছে। ফলে বই সংকটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া এসএসসি, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আশেপাশের জেলা থেকে বই সংগ্রহ করে দেওয়া হলেও বই পায়নি ষষ্ঠ,সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। যাদের কাছে বই নেই তারা বই ছাড়া স্কুলেও যাচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের বই সংকট কাটাতে না পারলে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়বেন বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোনাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া জানায়, তার বাংলা বই পানিতে ভেসে গেছে। বাকি বইগুলো সে শুকিয়ে নিয়েছে। সে বই নিয়ে স্কুলে যেতে পারলেও তার মামাতো ভাই-বোন বই না থাকায় স্কুলে যেতে পারছে না। স্যাররা বলেছে বই দিবে, কিন্তু কবে পাবে জানে না।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যানুযায়ী, সুনামগঞ্জের ১২ টি উপজেলার ১ হাজার ২৯৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যাকবলিত স্কুল-কলেজের প্রায় ৬ লাখ শিক্ষার্থী: মাউশি।
বাধাঘাট মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, বেশিরভাগ স্কুলেই কোমরপানি ছিল। ভবনের ফ্লোর দেবে গেছে, প্লাস্টার উঠে যাচ্ছে, টয়লেটগুলো ব্যবহারযোগ্য নেই। আর শিক্ষার্থীদের জন্য বই দরকার। চাহিদাপত্র জেলা অফিসে পাঠানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আবদুর রহমান জানান, তার জেলার সব বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। ঘরবাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীর বই নষ্ট হয়ে গেছে। এ জন্য ৪০ হাজার বইয়ের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বইয়ের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদাপত্র পাঠানো হলেও এখনো কেন বই আসেনি তা জানি না। তবে আশা করছি তাড়াতাড়িই বই আসবে।