২০ দিনে পদ্মা সেতুতে অর্ধশত কোটির বেশি টোল আদায়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২২, ০৮:০৩ PM , আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২২, ০৮:০৩ PM
দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতু। সেতু চালু হওয়ার পর ২০ দিনে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্ত হয়ে চার লাখ ৫০ হাজার ৩১২টি যানবাহন সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়া-আসা করেছে। এতে ৫২ কোটি ৫৫ লাখ ৩৫ হাজার ৬৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
শনিবার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বাসেক) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথম ২০ দিনে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে সেতু পাড়ি দিয়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার ৪১৬ যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ২৬ কোটি ৮১ লাখ ৫৯ হাজার ২৫০ টাকা। অন্যদিকে জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পাড়ি দিয়েছে দুই লাখ ১৯ হাজার ৮৯৬ যানবাহন। এতে আদায় হয়েছে ২৫ কোটি ৭৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা।
মাওয়া টোল প্লাজায় দায়িত্বে থাকা পদ্মা সেতুর সাইট অফিস নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মাহমুদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, এখন যানবাহন পারাপার স্বাভাবিক সময়ের মতো রয়েছে। কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন টোল আদায়ে আরও আধুনিক সিস্টেম ইন্সটলেশন করবে ডিসেম্বরের মধ্যে। তখন সক্ষমতা আরও বাড়বে ও দ্রুত টোল আদায় হবে। এখন ঘণ্টায় এক হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ গাড়ির টোল আদায় করা যাচ্ছে, তখন আরও বেশি হবে।
গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর নিজে প্রথম টোল দিয়ে সেতু পার হন। এর পর ২৬ জুন হতে সর্বসাধারণের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হয়। প্রথম দিন ২৬ জুন টোল আদায় হয় ২ কোটি ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫৫০ টাকা। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২৬ হাজার ৫৮৯টি গাড়ির বিপরীতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৮ লাখ ৮৭ হাজার ১৫০ টাকা। আর জাজিরায় ২৪ হাজার ৭২৭টি গাড়ির বিপরীতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা। মোট গাড়ি পারাপার হয়েছে ৫১ হাজার ৩১৬টি।
২৭ জুন মোট টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৫০ টাকা। একইভাবে ২৮ জুন ১ কোটি ৯৪ লাখ ৫৮ হাজার ১ শ’, ২৯ জুন ১ কোটি ৯২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০, ৩০ জুন এক কোটি ৯৭ লাখ ৯২ হাজার ৪৫০, ১ জুলাই ৩ কোটি ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ২০০, ২ জুলাই ১ কোটি ৩২ লাখ ৭১ হাজার ৬৫০, ৩ জুলাই ১ কোটি ৮২ লাখ ৪৩ হাজার ৯৫০, ৪ জুলাই ১ কোটি ৯৯ লাখ ৬৪ হাজার ৩০০, ৫ জুলাই ২ কোটি ২৬ লাখ ৭৬ হাজার ৭০০, ৬ জুলাই ২ কোটি ৪২ লাখ ৩ হাজার ৭৫০, ৭ জুলাই ৩ কোটি ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৫০, ৮ জুলাই ৮ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা, ৯ জুলাই ২ কোটি ৭৩ লাখ ৮৮ হাজার ৩০০, ১০ জুলাই ১ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ৮৫০, ১১ জুলাই ৩ কোটি ৬০ লাখ ৫৫ হাজার ৪০০, ১২ জুলাই ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৪ হাজার ৪৫০, ১৩ জুলাই ৩ কোটি ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৫০, ১৪ জুলাই ২ কোটি ৯১ লাখ ৪৮ হাজার ৫০ এবং ১৫ জুলাই ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৮১ হাজার ৫০ টাকা আদায় হয়।