মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চায় সেই মেডিকেল শিক্ষার্থী আকিব

আকিব
আকিব  © টিডিসি ফটো

ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আহত হন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিব। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) মাথায় দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন তিনি। এদিন দুপুরে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে চমেকের ৬১তম ব্যাচের মাহফুজুল হক (২৩) এবং ৬২তম ব্যাচের নাইমুল ইসলাম (২০) আহত হন।

এ ঘটনার জেরে পরে আকিব হোসেনকে (৬২তম ব্যাচ) একা পেয়ে বেধড়ক পেটায় বিপক্ষ গ্রুপের লোকজন। এতে তার মাথার অস্ত্রোপচার করে মাথার খুলির একটি অংশ (হাড়) খুলে পেটের চামড়ার নিচে রাখা হয়।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আঁকিবের একটি ছবি ভাইরাল হয়। এতে লেখা ছিল, ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না।’ এরপর তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন।

মার্চে আবারও চমেক হাসপাতালে ভর্তি হন আকিব। ২৮ মার্চ দ্বিতীয় দফায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করে তার মাথার হাড় প্রতিস্থাপন করা হয়। আঁকিব নিউরোসার্জারি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার শেষে তিনি সুস্থ রয়েছেন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। সোমবার অস্ত্রোপচারের স্থানে কিছু সেলাই কাটা হয়েছে।

আরও পড়ুন : ৮ কিলোমিটার হেঁটে কলেজে যেতেন, সুযোগ পেলেন মেডিকেলে ভর্তির

নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান নোমান খালেদ চৌধুরী জানান, আকিব সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাকে কয়েক দিন বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে। এরপর পুনরায় আকিবকে ফলোআপের জন্য হাসপাতালে আসতে হবে। তার কিছু ব্যায়াম রয়েছে। সেগুলো করতে হবে। এ ছাড়া মানসিক শক্তি ফেরানোর জন্য কিছু কাজ করতে হবে।

এদিকে ছাড়পত্র দেওয়ার সময় বিভাগের চিকিৎসকেরা সবাই আকিবের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। এ সময় আকিবের বাবা গোলাম ফারুক মজুমদার বলেন, ছেলে অসুস্থ হলে সব মা–বাবা উদ্বিগ্ন থাকেন। যা হয়েছে, আমি মেনে নিয়েছি। সবার দোয়ায় এখন সুস্থ হয়েছে সে। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’

গোলাম ফারুক বলেন, সবার দোয়া ও ভালোবাসা রয়েছে বলে আকিব সুস্থ হয়েছে। সব পরীক্ষায় পাস করেছে। ভবিষ্যতে যেন সে একজন ভালো চিকিৎসক হয়, এ দোয়া চাই।

এ ব্যাপারে বলেন, শারীরিকভাবে কোনো সমস্যা অনুভব করছি না। সব দিক দিয়ে ফিট মনে হচ্ছে। বাড়িতে গিয়ে আম্মার সঙ্গে দেখা করব।

কুমিল্লা জিলা স্কুলের ছাত্র মাহাদি আকিব। জিলা স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি ভর্তি হন নটরডেম কলেজে। উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর পরীক্ষা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে। দুটোতেই উত্তীর্ণ হন। তাদের বাড়ি কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার কিং বামিশা গ্রামে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence